
নয়া দিল্লি: গত সেপ্টেম্বর মাসে ঘোষণা করা হয়েছে চলচ্চিত্রে জাতীয় পুরস্কার প্রাপকদের নাম। আজ, মঙ্গলবার সেই পুরস্কার প্রদান করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। নয়া দিল্লিতে সেই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ৬৯ তম জাতীয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চলচ্চিত্র জগতের কলাকুশলীদের ধন্যবাদ জানান বিনোদনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য। করোনা পরিস্থিতিতেও যেভাবে তাঁরা কাজ করেছেন, তার জন্যও এদিন সাধুবাদ জানান অনুরাগ ঠাকুর। এদিন পুরস্কার গ্রহণ করতে দিল্লিতে বিজ্ঞান ভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন বলি অভিনেত্রী আলিয়া ভাট, কৃতী শ্যানন, দক্ষিণের অভিনেতা আল্লু অর্জুন প্রমুখ।
জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করতে গিয়ে এদিন আবেগে ভাসেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমান। উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে এদিন অভিবাদন জানান প্রত্যেকে। এবার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েছেন ওয়াহিদা। তিনি বলেন, “আমি খুবই খুশি। জীবনে এই মাইলস্টোন ছুঁতে পারার জন্য আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।”
সেরা অভিনেত্রী হিসেবে এদিন পুরস্কার গ্রহণ করেন আলিয়া ভাট ও কৃতী শ্যানন। ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’-র অভিনেত্রী পুরস্কার নিতে উঠলে, দেখা যায় সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করছেন তাঁর স্বামী তথা অভিনেতা রণবীর কাপুর।
স্পেশাল জুরি বিভাগে পুরস্কৃত রয়েছে করণ জোহর প্রযোজিত ছবি ‘শেরশাহ’। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে করণ উল্লেখ করেন, সিনেমার দুনিয়ায় এবারই ২৫ বছর পার করেছেন তিনি। তাই এই পুরস্কার পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর প্রথম ছবি ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’।
চলচ্চিত্র জগতের বহু ব্যক্তিত্ব এদিন উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ভবনে। সেরা ছবি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে রকেট্রি। অন্যান্য বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে ‘আরআরআর’ ও ‘কাশ্মীর ফাইলস’ও। সেরা অভিনেতা হিসেবে পুষ্পা ছবির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন আল্লু অর্জুন। এছাড়া সহ অভিনেতা হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। পুরস্কার পেয়েছেন অভিনেত্রী পল্লবী যোশীও।