পটনা : স্কুল সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য়ই একটা শিক্ষার জায়গা। বলা যেতে পারে দ্বিতীয় বাড়ি হল স্কুল। দিনের বেশিরভাগ সময়টাই ছাত্র-ছাত্রীরা সেখানে কাটান। কিন্তসেই স্কুলেই যদি এরকম ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় তাহলে কি সেই দ্বিতীয় বাড়িতে যেতেই দুইবার ভাবতে হয়। সাধারণ খাতা, পেন্সিল না নিয়ে যাওয়ার জন্য় শিক্ষকের এই মূর্তি ধারণে উঠছে প্রশ্ন। বিহারের একটি প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা। ছাত্রী পেন্সিল ও খাতা নিয়ে না আসায় মেরে পিঠে কালশিটে ফেলে দিলেন শিক্ষক।
বিহারের একটি সরকারি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুফিয়া সাহিন। বয়স মাত্র ৭ বছর। সে স্কুলে একদিন খাতা ও পেন্সিল নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছে। কিন্তু তার এই কাজে স্কুলের শিক্ষর রীতিমতো ক্ষেপে ওঠে। লাঠি দিয়ে ছাত্রীকে পেটাতে শুরু করেন শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র পাঠক। মেরে পিঠের ছাল চামড়া তুলে নিয়েছেন সেই শিক্ষক। মেয়েটি জানিয়েছেন, তার উপর খুব অত্যাচার করেছে ওই শিক্ষক। ওই ছোট্ট মেয়েটি রীতিমতো ভয় পেয়ে যায় এই ঘটনায়। এই অবস্থায় বাড়ি ফিরলে পরিবারের লোক অবাক হয়ে যায়। মেয়েটির বাড়ির লোক অভিযোগ দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে ভিতাহার ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার পান্নালাল এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর থেকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ওই শিক্ষক।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি যে তিনি এইসব কিছুই করেননি। তাঁকে বদনাম করার জন্যই এইসব গল্প বানানো হচ্ছে। এদিকের এই ঘটনার পরেই গোটা বিষয়ের খোঁজ নিতে স্কুলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন মেয়েটির বাবা।
আরও পড়ুন : Sputnik V Booster Dose : স্পুটনিকের বুস্টার নিয়ে কাটল জটিলতা, স্বস্তির খবর রুশ টিকা প্রাপকদের