পানাজি : গোয়ায় আরও শোচনীয় অবস্থা কংগ্রেসের। কংগ্রেসের ‘হাত’ ছেড়ে গোয়ায় হাতে ‘পদ্ম’ তুলে নিলেন কংগ্রেসের আট বিধায়ক। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত ও বিরোধী দলনেতা মাইকেল লোবোর নেতৃত্বে ৬ জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলেন। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর গোয়ায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্য়া ছিল ১১। কামাত ও লোবো সহ কংগ্রেসের মোট আটজন শিবির বদল করায় তা কমে দাঁড়াল তিনে। বুধবার সকালেই মাইকেল লোবো ও দিগম্বর কামাত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সওয়ান্তের সঙ্গে দেখা করেন। এর পাশাপাশি তাঁরা দেখা করেন বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গেও। তারপরই শুরু হয় জল্পনা। অবশেষে পদ্ম শিবিরে নাম লেখালেন কংগ্রেসের ৮ নেতা।
সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র সূচনা করেছেন। এই যাত্রার মাঝেই নিজের দলের এতজন বিধায়ককে হারানোয় নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। এদিকে কংগ্রেসের ৮ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসের ঝুলিতে বিধায়ক এখন মোটে তিন। যা বিধায়ক সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশের বেশি। ফলে শিবির বদল করায় বিধায়কদের বিরুদ্ধে দলত্যাগী বিরোধী আইনে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না কংগ্রেস। এদিন সকালে কংগ্রেস বিধায়কদের স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘিরেই জল্পনা শুরু হয়। তারপর গোয়া বিজেপির প্রধান সদানন্দ শেট তানাবাড়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছিলেন, তাঁরা আজই পদ্ম শিবিরে যোগ দিচ্ছেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মাইকেল লোবো সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সওয়ান্তের হাত শক্ত করার জন্য আমরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছি… কংগ্রেস ছোড়ো, বিজেপি কো জোড়ো।’
প্রসঙ্গত, এর আগেও গত জুলাই মাসেই গোয়ায় কংগ্রেস বিধায়কদের শিবির বদল নিয়ে জল্পনা শোনা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে দিল্লিতে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা পর্ব সেরে রেখেছিলেন গোয়ার প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত। সেই সময় ২ বিধায়ককে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল বিজেপির তরফে। তবে জুলাইতে কোনওভাবে সেই ভাঙন আটকাতে সক্ষম হলেও সেপ্টেম্বরে আর শেষ রক্ষা হল না। কংগ্রেসের হাত ছেড়ে হাতে পদ্ম তুলে নিলেন কংগ্রেসের আট বিধায়ক।