
জয়পুর: ৯ বছরের নাবালিকা। হাই স্কুলেও ওঠেনি, সে এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল! বেসরকারি স্কুলে এক ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য। শনিবার দুপুরে ওই পড়ুয়া স্কুলের পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। কী কারণে এমন পদক্ষেপ করল, তা জানা যায়নি। এদিকে, পুলিশ পৌঁছনোর আগেই স্কুল চত্বর, যেখানে ওই পডুয়ার দেহ পড়েছিল, তা সাফাই করে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেও শোরগোল পড়ে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনেছে নিহত ছাত্রীর পরিবার।
ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরে। শনিবার দুপুরে স্কুল চলাকালীনই এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, স্কুল বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায় ওই ছাত্রী হঠাৎ রেলিংয়ে ওঠে এবং ঝাঁপ দিয়ে দেয়। ৪৭ ফুট থেকে পড়ায় সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। সেই সময় তাঁর আশেপাশে আরও অনেক পড়ুয়া ছিল। তারা নিজেদের মতো কথাবার্তা বলতেই ব্যস্ত ছিল।
মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিল আমাইরা (৯)। তাঁর মা ব্যাঙ্কে চাকরি করেন, বাবা একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে। বাড়ি থেকে স্কুলে আসার সময়ও হাসি-খুশি ছিল সে। হঠাৎ স্কুলে আসার পর কী হল, কেনই বা ওইটুকু বাচ্চা ঝাঁপ দিল স্কুল থেকে, তা নিয়ে রহস্য ঘনাচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে, তবে আত্মহত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি। এক সূত্রের খবর, স্কুলের এক শিক্ষকের আচরণে দুঃখ পেয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে সঙ্গে সঙ্গেই নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে পুলিশ যখন তদন্ত করতে স্কুলে যায়, তখন তারা দেখেন, যে জায়গায় নাবালিকা পড়েছিল, তা সম্পূর্ণ ধুয়েমুছে পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে। রক্তের কোনও চিহ্ন নেই।
নাবালিকার পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। তাদের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, তাদের মেয়ের মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে। স্কুলের শিক্ষক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষও ঘটনার পর মুখে কুলুপ এঁটেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এমনকী, জেলা শিক্ষা আধিকারিক রাম নিবাস শর্মা স্কুলের প্রিন্সিপালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তিনি ফোনও ধরেননি।