British Fighter Jet: কেরলের মাটিতে ব্রিটিশ যুদ্ধ বিমান, ছুঁতে দিচ্ছে না ভারতকে!

১৪ তারিখ এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের পর থেকে আজ ১ সপ্তাহ হয়ে গেল। তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের রানওয়েতেই এখনও ঠায় দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান।

British Fighter Jet: কেরলের মাটিতে ব্রিটিশ যুদ্ধ বিমান, ছুঁতে দিচ্ছে না ভারতকে!

| Edited By: সোমনাথ মিত্র

Jun 22, 2025 | 6:25 PM

দামি জিনিস হলে আমরা সবাই একটু যত্নে রাখার চেষ্টা করি। ঢেকে রাখা, মুড়ে রাখা-এসব আমরা করি। আর এর দাম তো খুব কম করে হলেও ৩৫ কোটি টাকা। আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র যা আছে, সেগুলো ধরলে দামের অঙ্ক কোথায় গিয়ে পৌঁছবে কেউ জানে না। তারপরও মালিক যে, সে বলছে জিনিস আমার খোলা আকাশের নীচেই পড়ে থাক। রোদে পুড়ুক, জলে ভিজুক, ক্ষতি নেই। মাথার ওপর ছাদ আমার লাগবে না। ফলে, ১৪ তারিখ এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের পর থেকে আজ ১ সপ্তাহ হয়ে গেল। তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের রানওয়েতেই এখনও ঠায় দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান

নিরাপত্তারক্ষীরা বিমান ঘিরে রেখেছেন। ধারেকাছে কারও যাওয়ার জো নেই। ব্রিটেন থেকে আসা ইঞ্জিনিয়ারা শুধু বিমান পরীক্ষা করে দেখছেন। বিমানবন্দরের হ্যাঙারে প্লেনটিকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল ভারত। ব্রিটিশ সেনা তাতে রাজি হয়নি। শোনা যাচ্ছে প্লেনের হাইড্রলিক সিস্টেমে কিছু সমস্যা ধরা পড়েছে। হ্যাঙারে না নিয়ে গেলে সেগুলো ঠিক করা সম্ভব নয়। যদিও ব্রিটেন একেবারেই তা চাইছে না। ফলে খোলা আকাশের নীচেই বিমান ঠিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়াররা।

এই বিমানটা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকা থেকে ব্রিটিশ বিমানবাহী রণতরী HMS Prince of Wales থেকে উড়েছিল। গত শনিবার পাইলট প্লেন নিয়ে আরব সাগরে উড়ছিলেন। রাত সাড়ে ন-টা নাগাদ তিনি দেখেন যে প্লেনে তেল নেই। আর এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার থেকে তিনি বহু দূরে আছেন। ফলে পাইলট আর জাহাজে ফেরার ঝুঁকি নেননি। তিনি এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি চান। ভারত অনুমতি দেওয়ায় তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে এসে নামে ব্রিটিশ ফাইটার জেট। এই এফ-৩৫বি মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিনের তৈরি ৫ম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। ব্রিটেনের মতো নেটো দেশগুলো এ বিমান ব্যবহার করে। ওড়ার জন্য অল্প লম্বা রানওয়ে হলেই চলে। আর নামার সময়ে অনেকটা হেলিকপ্টারের মতো ভার্টিকালি নামতে পারে। ফলে, এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার থেকে অপারেট করার পক্ষে একেবারে আদর্শ।

যতটা জানা যাচ্ছে যে বিমানটি ফিট টু ফ্লাই অবস্থায় নেই। তাই সেটাকে সমুদ্রে মোতায়েন মাদার শিপে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দুটো সম্ভাবনার কথা অনেকেই বলছেন। বিমানবন্দরের হ্যাঙারে সবসময়ই ইঞ্জিনিয়াররা থাকেন। ব্রিটিশ রয়্যাল নেভি চাইছে না যে তাদের এই বিমানটাকে সামনে থেকে চাক্ষুষ করুন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়াররা। পাছে, কিছু জিনিস ফাঁস হয়ে যায়। আর দ্বিতীয় সম্ভাবনা হিসাবে উঠে আসছে যে গোপন কিছু জিনিস হয়ত বিমানে আছে। যা লুকিয়ে রাখতে চাইছে ব্রিটিশ রয়‍্যাল নেভি। সবটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। এই গোটা বিষয়টা নিয়ে গত কয়েকদিনে ব্রিটিশ মিডিয়ায় একটা লাইনও খবর নেই। সংবাদমাধ্যকে ব্রিটিশ সরকার চুপ করে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।