AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Digital arrest: ‘থানা থেকে বলছি’, ৫ দিনের জন্য পরিবারের সবাই ডিজিটাল অ্যারেস্ট, তারপর যা হল…

Digital arrest: চন্দ্রভানকে বলা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি মুম্বইয়ের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ দেখছে। এর মিনিট দশেক পর নিজেকে আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি চন্দ্রভানকে ভিডিয়ো কল করে। ওই ব্যক্তি জানায়, চন্দ্রভানের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে।

Digital arrest: 'থানা থেকে বলছি', ৫ দিনের জন্য পরিবারের সবাই ডিজিটাল অ্যারেস্ট, তারপর যা হল...
প্রতীকী ছবি
| Updated on: Feb 11, 2025 | 4:07 PM
Share

নয়ডা: ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে এক পরিবারের কাছ থেকে ১ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিল প্রতারকরা। পরিবারের সবাইকে ৫ দিন ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। বিষয়টা বুঝতে পারার আগেই প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে ওই পরিবার ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা অনলাইন ট্রান্সফার করে দেয়। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের নয়ডার।

ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে প্রশাসনের তরফে বারবার সাবধান করা হচ্ছে। ডিজিটাল অ্যারেস্ট বলে যে কিছু হয় না, সেকথা বলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরও এমন ঘটনা বারবার সামনে আসছে। এবার প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন উত্তর প্রদেশের নয়ডার চন্দ্রভান পালিওয়াল নামে এক ব্যক্তি।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি অজানা নম্বর থেকে একটি ফোন আসে চন্দ্রভান পালিওয়ালের কাছে। তিনি ফোন ধরতেই অন্যপ্রান্ত থেকে বলা হয়, “আপনি এখনই টেলিকম রেগুলাটরি অথরিটির সঙ্গে যোগাযোগ করুন। না হলে আপনার সিম কার্ড ব্লক করে দেওয়া হবে।”

এরপর চন্দ্রভানকে বলা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি মুম্বইয়ের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ দেখছে। এর মিনিট দশেক পর নিজেকে আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি চন্দ্রভানকে ভিডিয়ো কল করে। জানায়, মুম্বইয়ের কোলাভা পুলিশ স্টেশন থেকে সে ফোন করছে। চন্দ্রভানের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে জানায় সে। বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ২৪টি মামলা রয়েছে। অর্থ পাচারের অভিযোগে সিবিআই-ও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে বলে জানায় ওই ব্যক্তি।

এরপরই ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হয় চন্দ্রভানকে। এমনকী, তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকেও ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হয়। পাঁচদিন তাঁদের ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়। এই পাঁচদিনে বিভিন্ন সময় প্রতারকদের দাবি মেনে অনলাইনে টাকা ট্রান্সফার করেন চন্দ্রভান। এভাবে পাঁচদিনে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা দেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে তারা।

কয়েকদিন আগে দিল্লি আইআইটি-র এক পড়ুয়াও অনলাইন প্রতারণার স্বীকার হন। তাঁকেও ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা হাতি নেয় প্রতারকরা। ওই মামলায় চেন্নাই থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।