কোচি: নিজের নাবালিকা মেয়েদেরই ধর্ষণের অভিযোগ জন্মদাতা বাবার বিরুদ্ধে। দুই মেয়ে। বড় মেয়ের উপর একাধিকবার শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ। ঘরের মধ্যে। ঘরের বাইরেও। ছাড়েননি ছোট মেয়েকেও। ছোট মেয়ের উপরও চালিয়েছেন যৌন নির্যাতন। বাবার পৈশাচিক লালসার শিকার হয়েছিল দুই নাবালিকা। কেরলের ওই ঘটনায় এবার অভিযুক্ত বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বড় মেয়ের উপর যৌন নিগ্রহের অভিযোগে ওই ব্যক্তির সব মিলিয়ে ১২৩ বছরের জেলের সাজা শোনাল কেরলের এক ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। একইসঙ্গে ছোট মেয়ের উপর যৌন নিপীরণের জন্যও আলাদা করে তিন বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত।
কেরলের ওই ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক আশরাফ এ এম এই সাজা ঘোষণা করেছেন। বড় মেয়ের উপর ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের জন্য মোট চারটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে অভিযুক্ত বাবাকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(৩) ধারায় ১৬ বছরের কম বয়সি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে, পকসো আইনের ৫(১) ধারায় বার বার যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ও পকসো আইনের ৫(এম) ধারায় ১২ বছরের কম বয়সি শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওই ব্যক্তি। প্রতিটি ধারার জন্য ৪০ বছর করে জেলের সাজা শোনানো হয়েছে। একইসঙ্গে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের ৭৫ ধারায় শিশুর উপর অত্যাচারের অভিযোগে আরও তিন বছরের সাজা শুনিয়েছে আদালত। সব মিলিয়ে ১২৩ বছরের সাজা শোনানো হয়েছে বড় মেয়ের উপর ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে। পাশাপাশি সাত লাখ টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
যদিও উপরে উল্লেখিত ধারাগুলি একইসঙ্গে বলবৎ হবে। ফলে বড় মেয়ের উপর ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সর্বোচ্চ ৪০ বছর জেলে থাকতে পারে অভিযুক্ত বাবাকে। এর পাশাপাশি ছোট মেয়ের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে, ওই ব্যক্তিকে আলাদাভাবে তিন বছরের বছরের জেল ও ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।