হাইওয়ে দিয়ে একা একা গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন মহিলা। আচমকা এসইউভি গাড়ি ধাওয়া করে তাঁকে। চার জন অচেনা ব্যক্তি ছিলেন ওই গাড়িতে। জাতীয় সড়ক ধরে প্রায় সাত কিলোমিটার ধরে এই কাণ্ড চলে। প্রথম দিকে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না ওই শিক্ষিকা। তারপর উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে একটি পেট্রোল পাম্পে গাড়ি থামান। ভেবেছিলেন, হয়ত এসইউভি গাড়িতে তাহলে এগিয়ে যাবে। কিন্তু না, পেট্রোল পাম্প থেকে বেরিয়ে আবার কিছু দূর এগতেই টের পান, গাড়িটি আবার তাঁর পিছু নিয়েছে। তাঁর সন্দেহ, গাড়িটি পেট্রোল পাম্প ছেড়ে কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন পেশায় শিক্ষিকা ওই মহিলা।
ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাব হাইওয়েতে। হরমীত সোচ নামে ওই মহিলা ঢিলওয়ান থেকে সুভানপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই এই বিচ্ছিরি অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখেছেন, ‘প্রায় সাত কিলোমিটার ধরে এই ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলেছে। কিছুতেই স্করপিওতে থাকা ওই চার জন পুরুষের পিছু ছাড়াতে পারছিলাম না। কখনও তারা আমার পিছন পিছন যাচ্ছিল, আবার কখনও সামনে এগিয়ে এসে গাড়ির গতি কমিয়ে দিচ্ছিল। মাঝে একটি পেট্রোল পাম্পে গাড়ি থামিয়ে আমি তাদের এগিয়ে যেতে দিই। কিন্তু তারা নিশ্চয়ই এগিয়ে গিয়ে কোথাও দাঁড়িয়ে ছিল, কারণ তারপর তারা আবার আমার পিছু নিয়েছিল।’
Cat and mouse game for 7km. Couldn’t get these 4 men in Scorpio off of my back. Either they were tailgating or slowing right ahead inhibiting my drive. In between I made a stop at petrol pump to let them move on. They must have halted somewhere on road too as I saw them catch up… pic.twitter.com/GKsIVNztih
— Harmeen Soch (@HarmeenSoch) May 9, 2024
ঘটনায় ভীষণভাবে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে হাইওয়েতে গাড়ির গতি বাড়ানো ভয়ঙ্কর হতে পারত, সেই ভেবে তিনি গাড়ির গতি কমিয়ে আনেন। ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার থেকেও নীচে নামিয়ে আনেন গাড়ির গতি। ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। হাঁটু থরথর করে কাঁপছিল। একসময় ভেবেছিলেন পুলিশকে ফোন করবেন কি না। কিন্তু এরই মধ্যে শেষে রাস্তার একটি জায়গায় এসে তাঁর গাড়ি বাঁ দিকে ঘুরে যায় এবং ওই এসইউভি গাড়িটি অন্য দিকে ঘুরে যায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে স্নায়ুর চাপ সামলে অবশেষে যেন স্বস্তি পান তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “কিছু পুরুষের বিনোদন অনেক সময়েই মহিলাদের কাছে ট্রমা হয়ে ওঠে। জানি না কবে পুরুষরা এটা বুঝবেন।”