
নয়াদিল্লি: মিটেছে দিল্লির নির্বাচন পর্ব। এক দশক কাটিয়ে পড়ে গিয়েছে কেজরীবালের সরকার। রাজধানীতে ফুটেছে পদ্ম ফুল। ২৬ আসনের ব্যবধানে কেজরীবালের দলকে পর্যদুস্থ করেছে বিজেপি। তাদের থলিতে গিয়েছে মোট ৪৮টি আসন। কেজরীবাল পেয়েছেন মোট ২২টি আসন। কংগ্রেস বাড়ি ফিরেছে শূন্য হাতে।
মূলত, মুসলিম ও দলিত ভোটের উপর ভর করেই চলতি নির্বাচনে দিল্লিতে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখল আপ। তাদের জয়ী ২২টি আসনের মধ্য়ে ১৪টি বিধানসভা আসন মূলত নির্ধারিত হয় মুসলিম ও অনগ্রসর বা দলিত শ্রেণী ভুক্ত ভোটারদের হাতে। এই আসনগুলিতে অন্যান্য শ্রেণী বা জাতের ভোটারদের নিরিখে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ও দলিতরা।
তবে কেজরীবালের দলের উপর যে একেবারে চোখ বন্ধ করে ভরসা রেখেছেন তারা, এমনটাও নয়। চলতি নির্বাচনেই তফসিলি জাতি সংখ্যাগরিষ্ঠ কেন্দ্রগুলিতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট কেটেছে আপের।
নির্বাচনের বহু আগে থেকে বিজেপির জুতো আলগা করে পা গলানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল। সরাসরি ভাবে হিন্দু-হিন্দুত্ব রাজনীতি না নামলেও, বিরোধীদের মতো বিজেপির এই কৌশলের বিরোধিতাও করছিলেন না তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লি দাঙ্গার পর থেকেই ‘সফ্ট হিন্দুত্বের’ রাজনীতি করছিলেন কেজরীবাল। কিন্তু আখেড়ে তা যে তার ক্ষতি করেছে সেই বিষয়টিও এখন অনেকটা স্পষ্ট।
বিজেপির চিরাচরিত কৌশলকে নিজের রাজনৈতিক সমীকরণে ফেলতে গিয়ে যে সব কিছু ঘেঁটে ফেলেছেন কেজরীবাল, সেই নিয়ে নেই কোনও দ্বিমত। তবে প্রাণ বাঁচিয়েছে মুসলিম ও দলিত ভোট। এই দুইয়ের উপর ভর করেই আপাতত রাজধানীর বুকে কিছুটা হলে স্বস্তি নিঃশ্বাস নিচ্ছে তারা, দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।