
নয়া দিল্লি: আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হতেই অস্বস্তিতে পড়েছে কেজরীবালের সরকার। দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার। এরই মাঝে বড় চমক। দুই তিনদিনের মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এই কথা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নয়, বরং বললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালই। মঙ্গলবারই তিনি জানান, আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে গ্রেফতার হতে পারেন সিসোদিয়া। কিন্তু হঠাৎ উল্টো সুর কেন তাঁর গলায়?
চলতি বছরের শেষভাগেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। মোদীর গড় দখল করতেই আপাতত মরিয়া কেজরীবাল। মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারেই গুজরাটে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন, “আমি ভেবেছিলাম ১০ দিন বাদে হয়তো সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু গুজরাটের যুব প্রজন্মের উৎসাহ দেখে মনে হচ্ছে, ১০ দিন নয়, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হবে”। পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া হেসে ওঠেন।
ভাবনগরের ওই নির্বাচনী সভা থেকেই মণীশ সিসোদিয়াও বলেন, “গুজরাটে যেভাবে আম আদমি পার্টির প্রতি মানুষের সমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে কারণেই সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।” কেজরীবালও সেই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, “আপনাদের মধ্যে যে উৎসাহ-আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি, তা নিশ্চয়ই কয়েকটি টিভি চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে এবং দিল্লিতে বসে ওঁরাও (বিজেপি) দেখছে। আমি শুনেছিলাম যে মণীশ সিসোদিয়াকে ১০ দিনের মধ্যে গ্রেফতারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু এখন আমার মনে হচ্ছে আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে নেওয়া হবে।”
গুজরাটবাসীকে আশ্বস্ত করে মণীশ সিসোদিয়া বলেন, “আমায় নিয়ে আপনাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমি সৎ। আপনারা নিজেদের উৎসাহ ও সমর্থন ভোটের মাধ্য়মে প্রকাশ করুন।” গুজরাটের স্কুলগুলির বেহাল দশার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “গত এপ্রিল মাসে আমি যখন ভাবনগরে এসেছিলাম, তখন স্কুলগুলির বেহাল দশা দেখেছি। আমাদের এই দৃশ্য বদলাতে হবে। দেশে বর্তমানে বেকারত্ব অন্যতম সমস্যা। মানুষ ডিগ্রি নিয়ে বসে আছে, কিন্তু কোনও চাকরি পাচ্ছে না। আর যেখানে চাকরি রয়েছে, সেখানে সরকার চাকরি দিচ্ছে না।”