Sushil Kumar Rinku: বাদল অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড আপের একমাত্র লোকসভা সাংসদ সুশীল কুমার রিংকু

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Aug 03, 2023 | 8:59 PM

Sushil Kumar Rinku: মাসখানেক আগেও লোকসভায় আপের কোনও সাংসদ ছিল না। সম্প্রতি জলন্ধর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে লোকসভায় পা রেখেছিলেন সুশীলকুমার রিংকু। তাঁকে সাসপেন্ড করার ফলে, চলতি অধিবেশনে লোকসভায় আম আদমি পার্টির আর কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকল না।

Sushil Kumar Rinku: বাদল অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড আপের একমাত্র লোকসভা সাংসদ সুশীল কুমার রিংকু
লোকসভা থেকে সাসপেন্ড সুশীলকুমার রিংকু
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার (৩ অগস্ট), বাদল অধিবেশনের বাকি অংশের জন্য লোকসভা থেকে বরখাস্ত করা হল আম আদমি পার্টির সাংসদ সুশীলকুমার রিংকুকে । অধিবেশন চলাকালীন অধ্যক্ষের চেয়ারের দিকে নথিপত্র ছুড়ে মারেন রিংকু। এরপরই তাঁকে লোকসভায় বিশৃঙ্খল আচরণ করার দায়ে বরখাস্ত করার প্রস্তাব দেন সংসদ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। সংসদের অনুমোদন অনুসারে অধ্যক্ষ ওম বিড়লা, আপ সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, লোকসভায় সেই সময় দিল্লি পরিষেবা বিল, ২০২৩ নিয়ে বিতর্ক চলছিল। সেই সময়ই সুশীলকুমার রিংকু লোকসভার ওয়েলে নেমে আসেন। তাঁর হাতে বেশ কিছু নথিপত্র ছিল। এরপর, তিনি অধ্যক্ষের চেয়ারের দিকে এগিয়ে গিয়ে হাতে থাকা কাগজগুলি অধ্যক্ষের দিকে ছুড়ে দেন।

উল্লেখ্য, লোকসভায় আম আদমি পার্টির একমাত্র সাংসদ ছিলেন সুশীলকুমার রিংকু। বস্তুত, মাসখানেক আগেও লোকসভায় আপের কোনও সাংসদ ছিল না। সম্প্রতি জলন্ধর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে লোকসভায় পা রেখেছিলেন সুশীলকুমার রিংকু। তাঁকে সাসপেন্ড করার ফলে, চলতি অধিবেশনে লোকসভায় আম আদমি পার্টির আর কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকল না। তাঁকে সাসপেন্ড করার আগে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, “লোকসভার মান মর্যাদা যাতে বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করতেই আমি এই পদক্ষেপ করছি। আপ সাংসদ লোকসভার উপযুক্ত আচরণ করেননি। তিনি হাউসের মর্যাদা হানি করার চেষ্টা করেছিলেন।” সাসপেন্ড হওয়ার পর  সুশীলকুমার রিংকু বলেছেন, “এরপরও আমি গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করে করব। আজ যেভাবে লোকসভায় বিল পাশ করেছে বিজেপি সরকার, তা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। কেজরীবালের জনপ্রিয়তায় ভয় পাচ্ছে বিজেপি।”

লোকসভা বিধি ৩৭৪ অনুযায়ী, কোনও সাংসদ লোকসভার কার্যধারায় বাধা দিলে, কক্ষের নিয়ম না মানলে এবং চেয়ারের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করলে তাকে সাসপেন্ড করার ক্ষমতা রয়েছে অধ্যক্ষের। তবে এই সাসপেনশনের মেয়াদ চলতি অধিবেশনের বেশি বাড়ানো যায় না। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদকে অবিলম্বে সংসদ চত্বর ত্যাগ করতে হয়। এর আগে রাজ্যসভায় সাসপেন্ড করা হয়েছিল আম আদমি পার্টিরই সাংসদ সঞ্জয় সিংকে। বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন, মণিপুরের হিংসা নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনার দাবিতে বিরোধীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে সামিল ছিলেনসঞ্জয় সিং-ও। তিনি রাজ্যসভার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছিলেন অভিযোগ করে, তাঁকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনখড়।

Next Article