
নয়াদিল্লি: বিশ্বের ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে ফের নিজের নাম তুলে ধরলেন পতঞ্জলির সহ-প্রতিষ্ঠাতা আচার্য বালকৃষ্ণ। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি রিসার্চ উইং, নাম এলসেভিয়ার। তাদের তৈরি তালিকাতেই নিজের নাম তুলে ধরলেন আচার্য বালকৃষ্ণ। যা শুধুই তাঁর জন্যই নয়, আয়ুর্বেদিক জগতের জন্যও একটা নজিরবিহীন ও গর্বের ঘটনা।
সাম্প্রতিককালে পতঞ্জলির হাত ধরে একের পর এক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন আচার্য বালকৃষ্ণ। প্রাচীন আয়ুর্বেদের সঙ্গে তিনি মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন আধুনিক বিজ্ঞানের। যা আগামী দিনে তাঁর মতো আরও বিজ্ঞানী তৈরিতে উৎসাহ দেবে বলেই মত একাংশের।
একাধিক আন্তর্জাতিক রিসার্চ জানার্লে নিজের নামে কমপক্ষে ৩০০টি আর্টিকেল প্রকাশ করেছেন পতঞ্জলির এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এমনকি, নিজের লেখাকে যে তিনি শুধুমাত্র একটা কাগজের মধ্য়ে সীমাবদ্ধ রেখেছেন এমনটা নয়। বালকৃষ্ণের লেখা গবেষণাপত্রগুলিকে বাস্তবে কার্যকর করেছে পতঞ্জলি। গত কয়েক বছরে বালকৃষ্ণের হাত ধরেই ১০০টির বেশি গবেষণাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে আচার্য বালকৃষ্ণ। তৈরি করেছেন নতুন নতুন সামগ্রী। আর্টিকেল, গবেষণাপত্র ছাড়াও যোগাসন এবং আয়ুর্বেদ নিয়ে ১২০টির বেশি বই লিখেছেন তিনি। যার মধ্যে ২৫টি আবার অপ্রকাশিত।
প্রসঙ্গত, শুধুই আয়ুর্বেদিক গবেষণা নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের নানা ঐতিহ্যবাহী বা প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিকেও রপ্ত করেছেন তিনি। মালেগাঁও, উত্তরাখণ্ড-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাদের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি ও ওষুধ তৈরির কাজ শিখেছেন বালকৃষ্ণ। এদিন তাঁর এই সাফল্য নিয়ে বাবা রামদেব বলেন, ‘বালকৃষ্ণ যে শুধুই আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে আয়ুর্বেদিক মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন এমনটা নয়। তিনি তাঁর বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ন্যাচেরোপ্যাথী বা প্রকৃতিজাত চিকিৎসা ব্যবস্থার নানা কৌশল রপ্ত করেছেন।’