
স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার জগতে আলো ছড়িয়ে দিতে এবার বড় সিদ্ধান্ত আদানি গ্রুপের। আদানি গ্রুপের অন্তর্গত দ্য আদানি ফাউন্ডেশন জোট বাঁধল মহারাষ্ট্র-ভিত্তিক ডিমড-টু-বি বিশ্ববিদ্যালয় দত্ত মেঘে ইনস্টিটিউট অফ হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (DMIHER)-এর সঙ্গে। লক্ষ্য—DMIHER-কে সুলভ স্বাস্থ্যশিক্ষা ও সেবাপদ্ধতির একটি সেন্টার অফ এক্সেলেন্স (CoE) হিসেবে গড়ে তোলা। এ যেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির দর্শন ‘সেবা হি সাধনা হ্যায়’ ভাবনার বহিঃপ্রকাশ।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে DMIHER-এর শিক্ষা উদ্ভাবন, ক্লিনিক্যাল গবেষণা ও কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার ঘটানো হবে। বর্তমানে DMIHER-এর আওতায় রয়েছে—
১। ১৫টি ইনস্টিটিউট ও ৫টি টিচিং হাসপাতাল
২। ১৩টি বিভাগে ২১৭টি শিক্ষা কর্মসূচি—স্নাতক, স্নাতকোত্তর, সুপার-স্পেশালিটি, ডক্টরাল ও ফেলোশিপ কোর্স সহ।
৪। এই সহযোগিতা আদানি গ্রুপের ‘টেম্পল অফ হেলথকেয়ার’ ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আসলে আদানি গ্রুপের কাছে হাসপাতাল কেবল চিকিৎসার স্থান নয়—এটি সম্মান, সেবা ও সহমর্মিতার প্রতীক বটে। প্রধানমন্ত্রীর বিকশির ভারত ২০৪৭-এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেও এই পদক্ষেপ গুরুত্ব বলে মনে করেন ওয়াকিবহাল মহল।
আদানি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ডঃ প্রীতি আদানি এই বিষয়ে বলেন, “মানসম্মত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সকলের মৌলিক অধিকার। আমরা গর্বিত যে এই CoE-এর মাধ্যমে শিক্ষানবীকরণ, গবেষণা ও কমিউনিটি কেয়ার একত্রিত হচ্ছে।”
DMIHER-এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রী দত্ত মেঘে বলেন, “গত ৩৫ বছরে স্বনির্ভর স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিকাঠামোর স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে। এই সহযোগিতা আঞ্চলিক ও জাতীয় উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।”
প্রসঙ্গত, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আদানি ফাউন্ডেশনের অবদান
১৯৯৬ সাল থেকে আদানি ফাউন্ডেশন ২১টি রাজ্যের ৭০৬০টি গ্রামে কাজ করছে। ৯.৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবনকে ছুঁয়ে গেছে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জীবিকা, জলবায়ু ও কমিউনিটি উন্নয়নমূলক প্রকল্প।
এর আগেও শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি সাধনের উদ্দেশ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে তাঁরা। তার মধ্যে রয়েছে আদানি ইউনিভার্সিটি আহমেদাবাদ, ৪১টি আদানি স্কুল, আদানি বিদ্যা মন্দির। যেখানে গরিব ছাত্রদের জন্য নিখরচায় শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিষ্ঠা করেছে গুজরাট আদানি ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (GAIMS), ভূজ।