নয়াদিল্লি: সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নের ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধরী এ নিয়ে একাধিক বার সুর চড়িয়েছেন। লোকসভার অন্দরে মহুয়ার হয়ে গলা ফাটিয়েছেন অধীর। কিন্তু কেন মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি এবং তাঁর দল কংগ্রেস। টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তা স্পষ্ট করেছেন অধীর। তিনি সাফ জানিয়েছেন, মহুয়ার পাশে দাঁড়ানো মানেই তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানো নয়।
কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী সাফ জানিয়েছেন, ন্যায়ের পক্ষে থাকতেই মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। মহুয়া মৈত্রকে অন্যায়ভাবে তাড়ানো হয়েছেন বলেও মনে করেন অধীর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “এক জন সাংসদকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর ব্যাখ্যাটা আমরা পেলাম না। ৪৯৫ পাতার একটি ডকুমেন্ট দেওয়া হয়েছে। তা পড়ারই সুযোগ পেলাম না। সাড়ে ১২টা নাগাদ তা দিল, আর ২টো থেকে আলোচনা হবে। আমি বলেছিলাম, এত স্বল্প সময়ের মধ্যে আলোচনা না করে যদি ২-৩ দিন পর বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যায়, তাহলে অসুবিধা কোথায়। কদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বললেন, বাইরের রাগ ভিতরে দেখাবেন। কেউ তো সভার কাজে কোনও অসুবিধা করেনি। কিন্তু নিময়কানুন মেনে আলোচনা করতে অসুবিধা কোথায়। আমি বার বার এটা নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছি, মহুয়া মৈত্রের দোষটা কোথায়? আমি কারও পক্ষে বা বিপক্ষে বলিনি। কেবল নিয়মের কথা বলেছি।”
মহুয়ার পাশে দাঁড়ানো নিয়ে এক বিরোধী সাংসদ হিসাবে অপর বিরোধী সংসদের পাশে দাঁড়ানো হিসাবেই দেখছেন অধীর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের হাইকোর্টে যদি কোনও উকিলের উপর অন্যায় হয়, তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উকিল, দল নির্বিশেষে তাঁর পাশে দাঁড়ায়। একইভাবে কোনও চিকিৎসকের উপর হামলা হয়, যে অন্যান্য চিকিৎসক পেশাগত সঙ্গীর পাশে দাঁড়ায়। এখানেও সেই বিষয় থেকেই পাশে দাঁড়ানো হয়েছে।”
মহুয়ার পাশে দাঁড়ানো মানেই যে তিনি তৃণমূলের পাশে দাঁড়াননি সে কথাও স্পষ্ট করেছেন অধীর। তিনি সাফ জানিয়েছেন, মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তৃণমূলের পাশে নয়। এ বিষয়ে অধীর টিভি৯ বাংলার প্রতিনিধিকে বলেছেন, “মহুয়া মৈত্রের পক্ষে দাঁড়ানো মানে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানো- এটা একেবারেই ভুল ব্যাখ্যা। এতে আম আর আমড়াকে এক করে দেওয়া হয়েছে। মহুয়া মৈত্র ঘটনাচক্রে তৃণমূলের। কিন্তু সংসদের এক জন সদস্য তিনি। মহুয়াকে সমর্থন মানে তৃণমূলকে সমর্থন নয়। মহুয়াকে সমর্থনও করিনি, বিরোধিতাও করিনি। কিন্তু মহুয়ার সঙ্গে যা হচ্ছে, আমার জ্ঞানে মনে হয়েছে তা বাড়াবাড়ি হচ্ছে। অন্যায় হয়েছে।”