
নয়া দিল্লি: কংগ্রেস-তৃণমূল সহ ২৬টি দল একজোট হয়ে সংসদে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে উদ্যত হয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে বিরোধী দলগুলি। এরই মধ্যে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, ‘দিল্লিতে এসে গণতন্ত্রের কথা বলছেন, আর বাংলায় গণতন্ত্র নেই, তা হলে কী করে চলবে।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বোর্ড গঠনের আগে বাংলায় সন্ত্রাস চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ভয়ঙ্কর বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন অধীর। তাঁকে পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জোটসঙ্গী কংগ্রেসের সাংসদ অধীরকে কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেন, ‘জোট করে অস্বস্তিতে পড়েছেন অধীর।’
বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর দাবি, বাংলায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়ার সময় নানা রকমের বেআইনি কাজ হচ্ছে। পুলিশ আর সরকারি দল মিলে বিরোধীদের ভয় দেখাচ্ছে, দলবদল করতে চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উদ্দেশে অধীর বলেন, “শুধু দিল্লিতে গণতন্ত্রের কথা বলব, আর বাংলায় অস্বীকার করব, এতে ভাল বার্তা যাবে না। রাজ্যে ভোটের পর যে ভয়ঙ্কর বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তার দায়িত্ব নিন।”
অধীরকে পাল্টা তোপ দেগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আছে বলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। গণতন্ত্র আছে বলেই কোথাও তৃণমূল জিতেছে, কোথাও কংগ্রেস জিতেছে, কোথাও বিজেপি জিতেছে। কল্যাণের কটাক্ষ, অধীরবাবুর সমস্যা অন্য জায়গায়। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে উনি অস্বস্তিতে পড়েছেন। কল্যাণের দাবি, দিল্লিতে কংগ্রেস নেতার ভূমিকায় থাকলেও রাজ্যের ক্ষেত্রে তিনি বিজেপির সঙ্গে আছেন। তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, “অধীরবাবু নিজে বহুবার পঞ্চায়েত নির্বাচন আটকানোর জন্য হাইকোর্টে মামলা করেছেন। কাজ হয়নি। আজকে ওঁর মুখে এসব মানায় না।”
১০০ দিনের কাজের টাকা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেন মামলা করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অধীর। তাঁর দাবি, তৃণমূল ইডি বা সিবিআই-এর হাত থেকে বাঁচতে বারবার সুপ্রিম কোর্টে যায়, অথচ ১০০ দিনের কাজের টাকার জন্য যাচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে কল্যাণের জবাব, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ইতিমধ্যেই মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সদ্য ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা মণিপুর সফর সেরে ফিরেছেন। সেই প্রতিনিধি দলে কংগ্রেসের তরফে ছিলেন অধীর চৌধুরী ও তৃণমূলের তরফে ছিলেন সুস্মিতা দেব।