নয়া দিল্লি: তিন রাজ্যে কংগ্রেসের হারের পর নতুন করে বঙ্গ রাজনীতির চাকা ঘোরার শব্দ পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষ করে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ফলাফলের নিরিখে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, পাল্টা অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁচা— সব মিলিয়ে ভোট-তরজা চরমে। রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ছত্তীসগঢ় বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। তেলঙ্গানা কংগ্রেস পেয়েছে বটে। তবে ‘হাত’ ছাড়া হয়েছে রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়। এরপরই সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা মানুষের পরাজয় নয়, এটা কংগ্রেসের পরাজয়।” এদিকে তৃণমূল সুপ্রিমোর এ হেন মন্তব্য নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও পাল্টা খড়্গহস্ত। অধীর চৌধুরী বলেন, “তৃণমূলের এ ধরনের বক্তব্যে বিজেপি খুশি হবে।”
অধীর চৌধুরীর কথায়, “পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে মমতা কোনও বার্তা দেননি। ক্ষমতাসীন বিজেপি পার্টির প্রতি মমতা বার্তা দিয়েছেন। কংগ্রেস লড়ে হেরেছে। বিজেপির সঙ্গে একমাত্র কংগ্রেসের লড়াই হল, সেটা প্রমাণ হল। মমতা চুপ করে থেকে কাকে সমর্থন করলেন?”
সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলছে। রবিবার বিধানসভার ফল ঘোষণার পর সোমবার কলকাতা থেকে যখন কংগ্রেসকে নিশানা করেন মমতা, রাজধানী থেকে তখন বাক-তরজায় জড়ান শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
অধীরের মন্তব্য নিয়ে বলতে গিয়ে কল্যাণ তো রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের বাস্তবতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন। তিনি বলেন, “বাংলায় অধীর বলছে বামেদের সঙ্গে চলবে। এটা ইন্ডিয়া জোটের হার নয়, কংগ্রেস নিজের মত লড়েছে কাউকে সঙ্গে নেয়নি। কংগ্রেসের দাদাগিরি করার অভ্যাস আছে। আর নিজের ঠিক লোকেদের জায়গা না দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের সেটব্যাক হয়েছে। কংগ্রেসের দোষে বিজেপি আজ এই জায়গায় এসেছে। অধীর চৌধুরী পিসিসি প্রেসিডেন্ট। কংগ্রেসের কী হাল!”