
নয়া দিল্লি: তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। আদিলের পরিচয় গোপন করে আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের হস্টেলে এনে রেখেছিল মুজাম্মিল। জানা গিয়েছে, জুলাই, অগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে একাধিকবার আদিলকে ওই হাসপাতালের হস্টেলে এনে রাখত মুজাম্মিল। আর সেই থাকার অনুমতি করিয়ে দিত শাহিন। দিল্লি বিস্ফোরণের দিনই দুপুরে গ্রেফতার হওয়া শাহিন হাসপাতালে যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিল বলেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে।
গত সোমবারের বিস্ফোরণের পর একে একে সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার আগেও চার চিকিৎসক এসেছে পুলিশের জালে, যাদের সঙ্গে দিল্লি বিস্ফোরণের সংযোগ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার তদন্তকারীরা একাধিক রেজিস্টার এবং হোস্টেলের রেজিস্টার খতিয়ে দেখেন। আর সেখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে মুজাম্মিলের সঙ্গে এক ব্যক্তি বারবার এসে থাকত। কিন্তু নিজের নাম কখনও আদিল দেয়নি। মুজাম্মিলের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে আদিল থাকত।
মুজাম্মিল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের অদূরে বাড়ি ভাড়া নিলেও, সেখানে যে মালপত্র শুধু রাখার জন্য সে নিয়েছিল সেটা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তাই তদন্তকারীরা মনে করছেন মুজাম্মিলের ভাড়াবাড়িতে নয়, মুজাম্মিল, শাহিন, আদিলের বৈঠক চলত হস্টেলেই। এখানেই শেষ নয়, উমর নবী এই দলে যোগ দেয় পরবর্তীতে। তাকে মূলত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দিল্লির বিভিন্ন অংশের রেইকি করার।
গত কয়েকমাস ধরে যে রেইকি করা হয়েছিল তার তথ্য শাহিনদের কাছে জমা করা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এমনকী মুজাম্মিল যে ঘরে থাকত, সেখান থেকে একাধিক বই, কাগজপত্র মিলেছে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর। এদিন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে বেরনোর সময় উদ্ধার হওয়া সেই সব সামগ্রী নিয়ে যায় তদন্তকারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে যে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে, সেখান থেকে একাধিক তথ্য মিলেছে বলে তদন্তকারী সূত্রের খবর। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার অবস্থাও তথৈবচ। প্রশ্ন উঠেছে, হাসপাতাল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে কে ঢুকছে, কখন ঢুকছে, তার কোনও খোঁজ রাখে না? আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগানো হয়েছিল।