Uttarkashi Tunnel Collapse: ‘আর একটু ধৈর্য্য ধরো, খুব তাড়াতাড়ি বের করে আনব’, ১০দিন পর আশ্বাস পেলেন উত্তরকাশীর ৪১ শ্রমিক

Rescue Work: উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এখন আটকে থাকা ৪১ শ্রমিক ও উদ্ধারকারী দলের মাঝে কেবল ৪০ মিটারের পুরু ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এই ধ্বংসাবশেষ ড্রিল করতে পারলেই উদ্ধার করে আনা যাবে শ্রমিকদের।

Uttarkashi Tunnel Collapse: আর একটু ধৈর্য্য ধরো, খুব তাড়াতাড়ি বের করে আনব, ১০দিন পর আশ্বাস পেলেন উত্তরকাশীর ৪১ শ্রমিক
সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকরা।Image Credit source: PTI

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Nov 22, 2023 | 7:14 AM

দেহরাদুন: মাথায় সেফটি হ্যাট, পরনে অতি সাধারণ পোশাক। ক্যামেরার সামনে একে একে উদয় হলেন শ্রমিকরা। তাঁদের সুস্থ-স্বাভাবিক দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলেন উদ্ধারকারী দল। ছেলে সুস্থ আছে শুনে আবেগে কান্নায় ভাসালেন সুড়ঙ্গের বাইরে অপেক্ষরত উদ্বিগ্ন পরিবার। বিপর্যয়ের ১০ দিন পর, মঙ্গলবার অবশেষে দেখা মেলে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ শ্রমিকের। ৬ ইঞ্চির একটি পাইপে ওয়াকি-টকি পাঠিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন উদ্ধারকারী দল। আশ্বাস দেন যে শীঘ্রই তাদের এই অন্ধকার সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনা হবে।

উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এখন আটকে থাকা ৪১ শ্রমিক ও উদ্ধারকারী দলের মাঝে কেবল ৪০ মিটারের পুরু ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এই ধ্বংসাবশেষ ড্রিল করতে পারলেই উদ্ধার করে আনা যাবে শ্রমিকদের। কিন্তু এক্ষেত্রে হিমালয় অঞ্চলের মাটির প্রকৃতি থেকে শুরু করে টপোগ্রাফি সহ একাধিক বিষয় রয়েছে, যা উদ্ধারকাজকে যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।

১০ দিন পর প্রথম দেখায় কী বললেন শ্রমিকরা?

মঙ্গলবার ভোর ৩টে ৪৫ মিনিট নাগাদ ধসে পড়া সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করানো হয় ৬ ইঞ্চির পাইপ। তার মধ্যে দিয়ে পাঠানো হয় ক্যামেরা। এ প্রান্ত থেকে উদ্ধারকারী দল জিজ্ঞাসা করে, “তোমরা ঠিক আছো? যদি সবাই ঠিক থাকো, তবে দয়া করে ক্য়ামেরার সামনে আসো এবং হাত তোলো ও হাসো”। সঙ্গে সঙ্গেই একে একে ক্যামেরার সামনে হাজির হন শ্রমিকরা। মাথায় সেফটি টুপি, মুখে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে লেগে থাকা ধুলো-বালি। ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে হাত নাড়েন তাঁরা।

উদ্ধারকারী দলের তরফে আটকে থাকা শ্রমিকদের আশ্বস্ত করে বলা হয়, তাদের শীঘ্রই উদ্ধার করা হবে। এরপর প্রত্যেকের পরিবার-পরিজনকে আশ্বস্ত করার জন্য একে একে সকলকে ক্যামেরার সামনে আসতে বলা হয়। তাঁরা ওয়াকি-টকি পেয়েছেন কি না, তাও জানতে বলা হয়। শ্রমিকরা সম্মতি জানালে কীভাবে সেই ওয়াকি-টকি ব্যবহার করতে হয়, তা বলে দেন উদ্ধারকারী দলের একজন। এরপরে আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য বোতলে ভরে পাঠানো হয় গরম খিচুড়ি ও ডালিয়া। বিগত ১০-১১ দিনে এটাই তাদের প্রথম গরম খাবার ছিল।