Supreme Court: আকাশ থেকে দেখলেন দীনেশ! ৩৪ বছরের পর চাকরি ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
Supreme Court Reinstates Job: ১৯৭৮ সালে রাজস্থানে একটি হোটেলে সাধারণ কর্মী হিসাবে কাজে ঢুকেছিলেন দীনেশ। কিন্তু ১৯৯১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তোলে কর্তৃপক্ষ। তার পর চাকরি থেকে বহিষ্কৃত করা হয় তাঁকে। এর কয়েক দশক পর ২০১৫ সালে সেই হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা করেন তিনি। ওই বছরের শেষ দিকেই রায় দেয় আদালত।

নয়াদিল্লি: তিন দশক পর ফিরে পেলেন খোয়ানো চাকরি। বড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই চাকরিতে যোগদানের পরিসর, পরিস্থিতি কোনওটাই আর নেই দীনেশ চন্দ্র শর্মার। বছর-বছর ধরে আইনি লড়াই চালালেন, কিন্তু রায় দেখার জন্য জীবিত থাকতে পারলেন না।
১৯৭৮ সালে রাজস্থানে একটি হোটেলে সাধারণ কর্মী হিসাবে কাজে ঢুকেছিলেন দীনেশ। কিন্তু ১৯৯১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তোলে কর্তৃপক্ষ। তার পর চাকরি থেকে বহিষ্কৃত করা হয় তাঁকে। এর কয়েক দশক পর ২০১৫ সালে সেই হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা করেন তিনি। ওই বছরের শেষ দিকেই রায় দেয় আদালত। দীনেশকে নির্দোষ সাব্যস্ত করে, তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই রাজস্থান হাইকোর্টে দ্বারস্থ ওই সংস্থাটি। তাঁদের বিপক্ষেই রায় দেয় আদালত। তবে স্বস্তির জায়গাও রাখা হয়েছিল।
চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি শ্রম আদালত নির্দেশ দিয়েছিল মামলাকারীকে দু’দশক ধরে প্রাপ্য় বেতন সম্পূর্ণ ভাবে ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু হাইকোর্ট সেই নির্দেশকে পরিবর্তন করে বেতনের পরিমাণ কমিয়ে ৫০ শতাংশ করে দেয়। তারপরেও থামেনি সংঘাত। সময়ের সঙ্গে তা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। এর মাঝেই মৃত্য়ু হয়েছে দীনেশ চন্দ্র শর্মার। কিন্তু তার হয়ে আইনি লড়াই চালিয়েছেন দীনেশের সন্তানরা।
শুক্রবার এই চাকরি-যাওয়ার মামলায় চূড়ান্ত রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজস্থান হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। যার দরুন ফিরিয়ে দিতে হবে চাকরি। দিতে হবে এত দশক ধরে বকেয়া থাকা প্রাপ্য বেতনের ৫০ শতাংশ। পাশাপাশি, প্রদান করতে হবে অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধাও। যার দরুন মামলাকারীরা সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষের থেকে ৩৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩২৬ টাকা পেতে চলেছেন। কিন্তু এই চাকরি, টাকা — কোনওটাই ভোগ করার জন্য দীনেশ চন্দ্র শর্মা আর বেঁচে নেই।
