India-China: লাদাখের পর এবার সিকিম, অরুণাচলেও বিধ্বংসী কে-৯ বজ্র হাউইটজ়ার, লাল ফৌজকে ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Feb 04, 2022 | 9:07 PM

Line of Actual Control: সূত্রের খবর, এখন আরও ২০০ টি হাউইটজ়ারের বরাত দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এগুলিকে উত্তরাখণ্ড, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ সহ পূর্বাঞ্চলের উচ্চ পার্বত্য এলাকায় মোতায়েন করা হবে বলে খবর।

Follow Us

নয়া দিল্লি : লাদাখ সেক্টরে সফলভাবে কে-৯ বজ্র হাউইটজ়ার পরীক্ষা করার পর, ভারতীয় সেনা এখন চিনের (China) লাল ফৌজের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিতে তৈরি। ভারতীয় সেনা (Indian Army) সূত্রে খবর, এবার পার্বত্য এলাকায় কে-৯ বজ্র হাউইটজ়ার মোতায়েন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী গত বছরের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ, পূর্ব লাদাখ সেক্টরে সীমান্ত বরাবর সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার এই কে-৯ বজ্র হাউইটজ়ার এমন পার্বত্য এলাকায় খুব কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে লাদাখ ছাড়াও চিন সীমান্ত সংলগ্ন অন্যান্য এলাকাতেও মোতায়েন ভারতীয় জওয়ানদের শক্তি আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে আরও গতি আসবে সেনা কার্যকলাপে। এক সরকারি সূত্র সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে যে এই কে-৯ বজ্র হাউইটজ়ারের পরীক্ষা সফল হয়েছে এবং দারুণ ভাল কাজ করেছে।

সূত্রের খবর, এখন আরও ২০০ টি হাউইটজ়ারের বরাত দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এগুলিকে উত্তরাখণ্ড, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ সহ পূর্বাঞ্চলের উচ্চ পার্বত্য এলাকায় মোতায়েন করা হবে বলে খবর। সীমান্তের কাছাকাছি এমন এলাকায় এগুলিকে মোতায়েন করা হবে যেখানে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্যত্র যাওয়া যেতে পারে।

ওই সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, হাউইটজ়ারের পারফরম্যান্স খুব ভাল হয়েছে এবং এটি উচ্চ পার্বত্য এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। সম্প্রতি, ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছিলেন, কিছু পরিবর্তন সহ মরুভূমি এবং সমতল অঞ্চলে মোতায়েন করার জন্য অস্ত্রগুলির পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তন করা হয়েছিল। লাদাখে রেজিমেন্টগুলি চরম শীতকালীন পরিস্থিতিতে হাউইটজ়ার চালানোর জন্য বিশেষ ছাউনি তৈরি করেছে। জেনারেল নারাভানে গুজরাটের সুরাতের কাছে হাজিরাতে লারসেন অ্যান্ড টারবোর ওয়ার্কশপে হাউইটজ়ারের অপারেশনের উপর নজর রাখছেন। এই অটোমেটেড অস্ত্রের রেঞ্জ ৩৮ কিলোমিটার। পূর্ব লাদাখে ১৬ হাজার উচ্চতায় কঠিন পার্বত্য এলাকায় ৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।

উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে কে -৯ বজ্র হাউইটজ়ার হস্তান্তর করেছিলেন। এই হাউইটজ়ার সেনাবাহিনীর জন্য অত্যন্ত কার্যকর এবং শক্তিসালী এক যুদ্ধ ট্যাঙ্ক বলে বিবেচিত হয়। সেনাবাহিনীর হাতে হাউইটজ়ার হস্তান্তরের পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “সুরাটে তৈরি এই বহুমুখী কাজে ব্যবহারযোগ্য কে-৯ বজ্র হাউইৎজারগুলি আমাদের দেশের সীমান্তে মোতায়েন করা হবে, যাতে সীমান্ত সুরক্ষিত থাকে। এর পাশাপাশি, প্রয়োজনে শত্রুকে উপযুক্ত জবাবও দিতে পারে। গত বছরের জানুয়ারিতে টিউনিং পরীক্ষার জন্য এটি সেনাবাহিনীতে পাঠানো হয়, এরপর সেনাবাহিনীর জন্য অনুমোদন দেওয়া হয় কে-৯ বজ্র হাউইটজ়ার।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

নয়া দিল্লি : লাদাখ সেক্টরে সফলভাবে কে-৯ বজ্র হাউইটজ়ার পরীক্ষা করার পর, ভারতীয় সেনা এখন চিনের (China) লাল ফৌজের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিতে তৈরি। ভারতীয় সেনা (Indian Army) সূত্রে খবর, এবার পার্বত্য এলাকায় কে-৯ বজ্র হাউইটজ়ার মোতায়েন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী গত বছরের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ, পূর্ব লাদাখ সেক্টরে সীমান্ত বরাবর সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার এই কে-৯ বজ্র হাউইটজ়ার এমন পার্বত্য এলাকায় খুব কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে লাদাখ ছাড়াও চিন সীমান্ত সংলগ্ন অন্যান্য এলাকাতেও মোতায়েন ভারতীয় জওয়ানদের শক্তি আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে আরও গতি আসবে সেনা কার্যকলাপে। এক সরকারি সূত্র সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে যে এই কে-৯ বজ্র হাউইটজ়ারের পরীক্ষা সফল হয়েছে এবং দারুণ ভাল কাজ করেছে।

সূত্রের খবর, এখন আরও ২০০ টি হাউইটজ়ারের বরাত দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এগুলিকে উত্তরাখণ্ড, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ সহ পূর্বাঞ্চলের উচ্চ পার্বত্য এলাকায় মোতায়েন করা হবে বলে খবর। সীমান্তের কাছাকাছি এমন এলাকায় এগুলিকে মোতায়েন করা হবে যেখানে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্যত্র যাওয়া যেতে পারে।

ওই সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, হাউইটজ়ারের পারফরম্যান্স খুব ভাল হয়েছে এবং এটি উচ্চ পার্বত্য এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। সম্প্রতি, ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছিলেন, কিছু পরিবর্তন সহ মরুভূমি এবং সমতল অঞ্চলে মোতায়েন করার জন্য অস্ত্রগুলির পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তন করা হয়েছিল। লাদাখে রেজিমেন্টগুলি চরম শীতকালীন পরিস্থিতিতে হাউইটজ়ার চালানোর জন্য বিশেষ ছাউনি তৈরি করেছে। জেনারেল নারাভানে গুজরাটের সুরাতের কাছে হাজিরাতে লারসেন অ্যান্ড টারবোর ওয়ার্কশপে হাউইটজ়ারের অপারেশনের উপর নজর রাখছেন। এই অটোমেটেড অস্ত্রের রেঞ্জ ৩৮ কিলোমিটার। পূর্ব লাদাখে ১৬ হাজার উচ্চতায় কঠিন পার্বত্য এলাকায় ৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।

উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে কে -৯ বজ্র হাউইটজ়ার হস্তান্তর করেছিলেন। এই হাউইটজ়ার সেনাবাহিনীর জন্য অত্যন্ত কার্যকর এবং শক্তিসালী এক যুদ্ধ ট্যাঙ্ক বলে বিবেচিত হয়। সেনাবাহিনীর হাতে হাউইটজ়ার হস্তান্তরের পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “সুরাটে তৈরি এই বহুমুখী কাজে ব্যবহারযোগ্য কে-৯ বজ্র হাউইৎজারগুলি আমাদের দেশের সীমান্তে মোতায়েন করা হবে, যাতে সীমান্ত সুরক্ষিত থাকে। এর পাশাপাশি, প্রয়োজনে শত্রুকে উপযুক্ত জবাবও দিতে পারে। গত বছরের জানুয়ারিতে টিউনিং পরীক্ষার জন্য এটি সেনাবাহিনীতে পাঠানো হয়, এরপর সেনাবাহিনীর জন্য অনুমোদন দেওয়া হয় কে-৯ বজ্র হাউইটজ়ার।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

Next Article