
নয়া দিল্লি: ১২ ঘণ্টার ম্যারাথন আলোচনা, ফল মিলল অবশেষে। লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। এই বিলের পক্ষে পড়ল ১২৮টি ভোট। বিপক্ষে ভোট পড়ল ৯৫টি। নতুন আইন প্রণয়ন হতে আর কোনও সমস্যা রইল না। এবার এই বিলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হবে।
বুধবার রাত ২টোয় লোকসভায় পাশ হয়েছিল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। এই বিলের পক্ষে ২৮৮ জন সাংসদ ভোট দিয়েছিলেন, বিপক্ষে পড়েছিল ২৩২টি ভোট। পরের দিন, বৃহস্পতিবারই রাজ্য়সভায় এই বিল পেশ করা হয়। দুপুর ১টা থেকে ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ৮ ঘণ্টা সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল ওয়াকফ সংশোধনী বিলের আলোচনার জন্য, কিন্তু সেই আলোচনা যখন শেষ হল, তখন ঘড়ির কাটা রাত ১টা পার করে গিয়েছে।
রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজুর বক্তব্য দিয়েই আলোচনা শুরু হয়েছিল। বিতর্ক ছিল ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলে অ-মুসলিম প্রতিনিধিত্ব নিয়ে। তিনি বলেন, “ওয়াকফ বোর্ড একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। সমস্ত সরকারি সংস্থার ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া উচিত”। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ওয়াকফে ২২ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৪ জন অ-মুসলিম প্রতিনিধি থাকবে।
কংগ্রেস সহ বিরোধীদলগুলিকে আক্রমণ করে রিজিজু বলেন, “আপনারা (বিরোধী) মুসলিমদের সমাজের মূলস্রোত থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। ৬০ বছর ধরে কংগ্রেস ও অন্যান্য দল দেশ শাসন করেছে, কিন্তু তারা মুসলিমদের জন্য কিছু করেনি। মুসলিমরা গরিব, এর জন্য দায়ী কে? আপনারা (কংগ্রেস)। মোদী সরকার এখন তাদের তুলে ধরার প্রচেষ্টা করছে।”
রাষ্ট্রপতির সই পেলেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হবে। নতুন আইনে-