নয়া দিল্লি: অনুব্রত কন্য়া সুকন্যা মণ্ডলের গ্রেফতারিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর বান্ধবী সুতপা। বললেন, “আমাকেও গ্রেফতার করে নিক। তাহলে অন্তত একসঙ্গে থাকতে পারব।” সুতপা শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করতেন অনুব্রত ও সুকন্যা। কাঁদতে কাঁদতে সেকথাও জানালেন সুতপা। আপাতত ইডি-র হেফাজতে সুকন্যা। বুধবার রাতে তাঁকে জামাকাপড় দিতে গিয়েছিলেন বান্ধবী সুতমা। বেরিয়ে আসতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। তখনই এই কথা বলেন।অনুব্রত মণ্ডল, গ্রেফতারির পর বীরভূমের লাখো লাখো মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সুকন্যার বিরুদ্ধে আয়ের হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগ। আবার বীরভূমেরই বাসিন্দা এই সুতপা, যিনি কিনা অনুব্রতর মেয়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। তিনি জানালেন, তাঁরা চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করতেন বান্ধবীর বাবা, অনুব্রতই। সুকন্যার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বান্ধবী সুতমা। বেশিরভাগ সময়েই তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন।
বুধবার সুকন্যার গ্রেফতারির পর তিনিই একমাত্র, যিনি রাতে দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁকে জামাকাপড় দিতে এসেছিলেন। কাঁদতে কাঁদতে সুতপা বলেন, “আর কিচ্ছু করার নেই। এবার ও একা হয়ে গেল আর আমিও। ওর পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। ওর মাও চলে গিয়েছে। আমি কী করব? আমার তো নিজের চিকিৎসা করানোরই সামর্থ্য নেই।” একুশের নির্বাচনের আশপাশের সময়েই অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। গত অগস্টে অনুব্রত গ্রেফতার হন। তারপর থেকে কার্যত একাই ছিলেন সুকন্যা। পাশে ছিলেন এই বান্ধবী। আজ সুকন্যার গ্রেফতারিতে তিনিও ভেঙে পড়েছেন।
এমন একটা পরিস্থিতি, আজ পাশে নেই অনুব্রতর নিজের দাদাও। এমনকি ভাইঝিকে পর্যন্ত দেখতে যাননি তিনি। বীরভূমে অনুব্রতর পাশেই তাঁদের বাড়ি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অনুব্রতর সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই।