বিহারে সব নেতাই কি দুই জায়গায় ভোট দেন? উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গেল ECI-র নোটিস

Election Commission of India: কংগ্রেস এসআইআরের বিরুদ্ধে যেভাবে সুর চড়িয়েছে, তাতে এই তথ্য প্রমাণ আরও বিতর্ক বাড়ায়। বঙ্কিপুরের নির্বাচনী রেজিস্ট্রেশন অফিসার (Electoral Registration Officer) উপমুখ্যমন্ত্রীকে নোটিস পাঠিয়েছেন।

বিহারে সব নেতাই কি দুই জায়গায় ভোট দেন? উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গেল ECI-র নোটিস
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীকে নির্বাচন কমিশনের নোটিস।Image Credit source: X

|

Aug 11, 2025 | 8:32 AM

পটনা: উপমুখ্যমন্ত্রীদের দুটো ভোটার কার্ড হওয়াটাই কি ট্রা়ডিশন বিহারে? প্রাক্তনের পর এবার বর্তমান। ভোটার আইডি নিয়ে ফ্যাসাদে পড়লেন বিজেপি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিনয় কুমার সিনহা। তাঁর কাছে গেল নির্বাচন কমিশনের নোটিস।

বিহারে এসআইআর (SIR) হওয়ার পরই প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব দাবি করেছিলেন, সংশোধিত ভোটার তালিকায় নাম নেই তাঁর! নির্বাচনে লড়বেন কী করে? পাল্টা প্রমাণ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশনও। তখনই বেরিয়ে এসেছিল যে তেজস্বী যাদবের কাছে দুটি ভোটার কার্ড আছে, যার নম্বর ভিন্ন। এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়। এবার বিপাকে বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী বিনয় কুমার সিনহা।

জানা গিয়েছে, বিহারের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রীর কাছেও দুটি ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে। তিনি ভোটার হিসাবে দুই জায়গায় রেজিস্টার্ড। নির্বাচন কমিশনের নজরে এই বিষয়টি আসতেই তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।

বিহারের কংগ্রেস প্রধান রাজেশ কুমার শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে খসড়া নির্বাচনী তালিকার ছবি পোস্ট করেন। তাতেই দেখা যায়, বিনয় কুমার সিনহার নাম ভোটার হিসাবে লখিসরাজে যেমন রয়েছে, তেমনই আবার পটনার বঙ্কিপুরেও নথিভুক্ত। এরপর আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও ছেড়ে কথা বলেননি। এসআইআরের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই তিনি প্রশ্ন তোলেন।

কংগ্রেস এসআইআরের বিরুদ্ধে যেভাবে সুর চড়িয়েছে, তাতে এই তথ্য প্রমাণ আরও বিতর্ক বাড়ায়। বঙ্কিপুরের নির্বাচনী রেজিস্ট্রেশন অফিসার (Electoral Registration Officer) উপমুখ্যমন্ত্রীকে নোটিস পাঠিয়েছেন। কীভাবে দুই জায়গায় তাঁর নাম রয়েছে, তার ব্যাখ্যা আগামী ১৪ অগস্টে বিকেল ৫টার মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, উপমুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন তিনি এক জায়গা থেকেই ভোট দেন। এটা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, “আমি এক জায়গা থেকেই ভোট দিই। গতবারও তাই করেছিলাম। আগে আমার ও পরিবারের নাম বঙ্কিপুর আসনে নথিভুক্ত ছিল। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে আমি লখিসরাজে নাম স্থানান্তরিতর আবেদন জানাই। কোনও কারণে বঙ্কিপুর থেকে আমার নাম  বাদ যায়নি। জঙ্গলরাজের রাজপুত্র (তেজস্বী যাদব) ভুয়ো তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। মিথ্যা অভিযোগ আনার জন্য ওঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।”