
কলকাতা: ঘড়ির কাঁটায় তখন দেড়টা বেজে গিয়েছে। হঠাৎই এল মর্মান্তিক খবর। আস্ত একটা যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়েছে গুজরাটের আহমেদাবাদে। ডাক্তারদের হস্টেলের উপর ভেঙে পড়েছে সেটি। প্রায় দু’শো জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি একাধিক জুনিয়র ডাক্তারেরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কিন্তু এত বড় ঘটনা ঘটল কীভাবে? প্রশ্ন উঠছে তবে কি বিমানেই সমস্যা ছিল? নাকি রানওয়ের কোনও সমস্যা? নির্দিষ্ট কোন কারণে এত বড় বিপর্যয়? এই নিয়েই টিভি ৯ বাংলায় মুখ খুললেন তেজস যুদ্ধবিমানের বাঙালি প্রাক্তন বাঙালি পাইলট তথা বর্তমানে বেসরকারি উড়ান সংস্থার পাইলট শুভাগত জোয়ারদার
গ্রুপ ক্যাপ্টেন বলছেন, এই বিমানটি এর আগে অনেকটা একাধিক জায়গায় ঘুরে এসেছে। যদি বিমানেরই সমস্যা হত তাহলে সেই যাত্রা আগেই বাতিল হত। তিনি বলেন, “এর আগে প্লেনটা দিল্লি থেকে আমেদাবাদ গিয়েছে। বুধবার এই বিমানটিই প্যারিস থেকে দিল্লি এসেছে। তাই তদন্ত হলে বাকিটা জানা যাবে… কী হয়েছে এটা এখনই বলা যাবে না।”
অপরদিকে, বিমানে যে পাইলটরা ছিলেন তাঁরাও যথেষ্ঠ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। জানা যাচ্ছে, সূত্রের খবর, এই বোয়িং ৭৮৭-এর এআই ১৭১ লন্ডনগামী বিমানের যিনি প্রাথমিক চালক ছিলেন তার অভিজ্ঞতা বিরাট। নাম সুমিত সবরওয়াল। তার অভিজ্ঞতা ৮ হাজার ঘণ্টার উপরে। এমনকি, তিনি বিমান প্রশিক্ষকও ছিলেন। এই বিষয়টি উল্লেখ করে গ্রুপ ক্যাপ্টেন বলেন, “জেনারেলি ৭৮৭-এর ড্রিম লাইনারের ক্রু-রা খুবই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হন। পাইলট নিজে ট্রেনার। যথেষ্ঠ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। এখানে পাইলটের ব্যর্থতা নেই।”
তিনি এ দিন এও বলেন, “প্লেনকে হাওয়াতে উড়িয়ে রাখার মূল সোর্স হল ইঞ্জিন। যদি ইঞ্জিনে ত্রুটি হয় তাহলে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে তা মুশকিল হতে পারে। প্লেনটা ৫০০ থেকে ৬০০ ফিট হাইট অবধি ওঠে। চাকা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে চাকা নামানো। মানে ওঁরা কি নামছিলেন?মাঝে কিছু একটা ঘটনা ঘটে… প্লেনটা যেভাবে নেমেছে মনে হচ্ছে জোরপূর্বক নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। বিমানকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।”