দেড় বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম, তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই ছুটিতে পাঠানো হল এইমসের চিকিৎসকদের
এইমস ম্যানেজমেন্টের দাবি, এই সিদ্ধান্তের কারণে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবাতে কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে অনেক রোগীই জানিয়েছেন যে, চিকিৎসকেরা ছুটিতে থাকার কারণে তাদের কাছে চেক-আপের তারিখ পিছিয়ে গিয়েছে।
নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আসন্ন তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় আতঙ্কিত সকলে। করোনা সংক্রমণের জেরে দেশে যে মৃত্যুমিছিলের সৃষ্টি হয়েছিল, তার মধ্যেও নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সপ্তাহের সাতদিনই ২৪ ঘণ্টা কর্তব্য পালন করেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরপর দুটি ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে চিকিৎসকেরা আজ ক্লান্ত, তাই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই চিকিৎসকদের জন্য ছুটি মঞ্জুর করল দিল্লির এইমস। আগামী ১৭ দিন এইমস-এর ৫০ শতাংশ চিকিৎসকই ছুটিতে থাকবেন।
এইমসে আপাতত দুটি শিফটে টিকিৎসকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ৩১ জুলাই অবধি ৫০ শতাংশ চিকিৎসকই ছুটিতে থাকবেন। ইতিমধ্যেই ১২ জুলাই থেকেই প্রথম শিফটের চিকিৎসকরা ছুটিতে চলে গিয়েছেন। এই বিষয়ে এইমস-এর এক কর্মকর্তা জানান, এটি একটি রুটিন প্রক্রিয়া। প্রতি বছরই এইমসের চিকিৎসকদের ছুটি দেওয়া হয়। সেই নিয়ম অনুসারেই এবারও ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তাই ছুটির জন্য এটি অনুকূল সময়। ১২ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দুই শিফটে ৫০ শতাংশ করে চিকিৎসকদের ছুটিতে যেতে দেওয়া হয়েছে।
এইমস ম্যানেজমেন্টের দাবি, এই সিদ্ধান্তের কারণে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবাতে কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে অনেক রোগীই জানিয়েছেন যে, চিকিৎসকেরা ছুটিতে থাকার কারণে তাদের কাছে চেক-আপের তারিখ পিছিয়ে গিয়েছে। চিকিৎসার জন্য এইমস-এ আগত রোগীরা জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের ছুটির কথা আগে থেকে জানানো হয়নি, হাসপাতালে আসার পরে তারা ছুটির কথা জানতে পেরেছেন।
উল্লেখ্য, দিল্লি এইমসের বর্তমানে ৫৬টি বিভাগ রয়েছে। বর্তমানে প্রায় তিন হাজারেরও বেশি চিকিৎসকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে উন্নয়নে জোর, ১৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধনে আজ নিজের কেন্দ্রে নমো