নয়া দিল্লি: ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘ শত্রুতার ইতিহাস রয়েছে। সেই দেশভাগের সময় থেকে যতদিন গিয়েছে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক ততটাই খারাপ হয়েছে। পাকিস্তান (Pakistan) বরাবই ভারত বিরোধিতাতে সিদ্ধহস্ত। ভারতের বিরোধিতার কোনও সুযোগ পাকিস্তান হাতছাড়া করতে চায় না। কিন্তু ভারতেরই কোন নাগরিক যদি পাকিস্তানের মতো দেশকে তথ্য সরবরাহ করে, তবে তা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। আর সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধেই যদি গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগ ওঠে, তবে অবাক হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) রেকর্ড অফিসে কর্মরত এক সার্জেন্টকে গোপনীয় ও সংবেদনশীল তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা সামগ্রী ও ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে এজেন্টকে তথ্য পাচারের অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মধুচক্রের ফাঁদ পেতে ওই ৩২ বছর বয়সী দেবেন্দ্র নারায়ণ শর্মা নামের ওই বায়ুসেনা সার্জেন্টের থেকে ওই তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। এমনকী ওই তাঁকে যৌনতার প্রলোভনও দেখান হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ওই বায়ু সেনা আধিকারিক দিল্লির সুব্রত পার্কের বায়ুসেনা অফিসে কাজ করত।
তদন্ত চলাকালীন জানা গিয়েছে, দেবেন্দ্রকে মধুচক্রে ফাঁসিয়ে পাকিস্তানি মহিলা তাঁর থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদায় করে নিচ্ছিল। ৬ মে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ আধিকারিকের হাতে গ্রেফতার হন ওই আধিকারিক। কম্পিউটারে গোপন তথ্য সংরক্ষণ এবং হোয়াটস্যাপের মাধ্যমে সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস করার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা এজেন্টের থেকে নগদ টাকাও পেয়েছে ওই আধিকারিক।
গ্রেফতারের সময় ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট এবং নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত বছর জুলাই মাসে অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের আওতায় এই সেনাকর্মী সহ মোট দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই দুই ব্যক্তি এইজন আইএসআই এজেন্টকে সংবেদনশীল তথ্য পাচার করেছিল। ৩৪ বছর বয়সী সবজি বিক্রেতাকে পোখরানের সেনা ক্যাম্প থেকে গ্রেফতারের পরই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। ওই সবজি বিক্রেতাই সেনাকর্মীর থেকে গোপনীয় তথ্য নিয়ে আইএসআই এজেন্টকে পাচার করত।