নয়া দিল্লি: এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) উড়ানে প্রস্রাব কাণ্ডে এবার সংস্থার কোপের মুখে সেই উড়ানের চার কেবিন ক্রু ও এক পাইলট। শনিবার তাঁদের কাজ থেকে বসিয়ে দিল সংস্থা। এর পাশাপাশি তাঁদের শোকজ় নোটিসও পাঠানো হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে। বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনায় তদন্তে দেরি হওয়ার কারণে কর্মীদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে সংস্থার তরফে। অন্যদিকে ওই উড়ানের এক পাইলট, সহ পাইলট ও অন্য়ান্য বিমান কর্মীদের দিল্লি পুলিশ তলব করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে গতকাল রাতেই বেঙ্গালুরু থেকে অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রকে (Shankar Mishra) গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। আজ তাঁকে আদালতে পেশও করা হয়েছে। দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। শঙ্কর মিশ্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধিকর ৩৫৪, ৫১০, ৫০৯ ও ২৯৪ নম্বর ধারার অধীনে মামলা রুজু হয়েছে। আর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে শঙ্করের। এদিকে এই ঘটনায় প্রথম থেকেই এয়ার ইন্ডিয়ার দিকে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। এদিন এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাম্পবেল উইলসন ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনওদিন এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
গত ২৬ নভেম্বরের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। শঙ্কর মিশ্র মদ্যপ অবস্থায় এক বৃদ্ধার গায়ে প্রস্রাব করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ৭২ বছর বয়সী সেই যাত্রী। এরপর এই ঘটনা সম্পর্কে তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার ওই উড়ানের ক্রুদের জানিয়েছিলেন। তবে তখনি অভিযুক্ত যাত্রীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তবে জাতীয় মহিলা কমিশন এই ঘটনা নিয়ে সক্রিয় হয়। এই ঘটনা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। এবার শুধুমাত্র দিল্লি পুলিশ শঙ্করকেই গ্রেফতার করেনি। এর পাশাপাশি ঘটনা নিয়ে গাফিলতির কারণে ডি-রোস্টার করা হল বিমানের কয়েকজন কর্মীকে।