নয়াদিল্লি: ককপিটে বান্ধবীকে ঢোকানোর অভিযোগ উঠেছিল এক বিমানচালকের বিরুদ্ধে। এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানচালকের বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়মভঙ্গের জন্য সাসপেন্ডেড হতে হয়েছে আন্তর্জাতিক উড়ানের অভিযুক্ত বিমানচালককে। ২৭ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছে। স্পর্শকাতর এই বিষয়ে ওই বিমানচালকের বিরুদ্ধে শুরুতে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগে এয়ার ইন্ডিয়াকে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ডিরেক্টর জেনারাল অব সিভিল অ্যাসোসিয়েশন (ডিজিসিএ)। এয়ার ক্র্যাফ্ট রুলস, ১৯৩৭ অনুযায়ী এই জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই জরিমানা নিয়ে ডিজিসিএ-এর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “যাত্রী নিরপত্তার মতো স্পর্শকারত বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই জরিমানা করা হয়েছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে। পাইলটের লাইসেন্সও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তিন মাসের জন্য।”
জানা গিয়েছে, এ বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি-দুবাই উড়ানে এই ঘটনা ঘটছিল। ওই বিমানের এক চালক নিজের বান্ধবীকে ককপিটে ঢোকার অনুমতি দিয়েছিলেন। সেখানেই ছিলেন ওই পাইলটের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। এমনকি বান্ধবীর জন্য মদ ও স্ন্যাকস ককপিটে দেওয়ার জন্যই বিমানসেবিকাদের নির্দেশ দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওই চালকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার কথা এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও-কে লিখে জানিয়েছিলেন ওই বিনামের এক ক্রু। কিন্তু তার পরও এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ। তার পর এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বিষয়টি ডিজিসিএ-কে মেল মারফত জানায়। তার পরই এই ব্যবস্থা নেওয়া হল। পাইলটকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করার পাশাপাশি এয়ারলাইন্সকেও ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ডিজিসিএ-র এই পদক্ষেপ নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র বলেছেন, “ডিজিসিএ-এর নির্দেশ আমরা মেনে চলি। আমরা তা গ্রহণও করছি। কিন্তু অভিযুক্ত পাইলটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার যে অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে উঠছে তা ঠিক নয়। বেশ কয়েকটি অভিযোগ ছিল। ধীরে ধীরে তা সমাধানের কাজ চলছিল।”