Air India Plane Crash: ‘বাচ্চা বাচ্চা ছেলেগুলো…দেহ চেনাই যাচ্ছিল না’, ইমার্জেন্সিতে কী হচ্ছিল, বর্ণনা করলেন ২ বাঙালি চিকিৎসক
Ahmedabad Plane Crash: চিকিৎসক বিপ্লব পাল বলেন, "আমরা প্রথম যখন এমবিবিএস পড়ুয়াদের দেহ দেখি, তখন অবস্থা খুব খারাপ ছিল। সিপিআর দিচ্ছিলাম, তাও কিছু করতে পারলাম না। এরকম চারজন ইউজি পড়ুয়ার দেহ পাই। দু-তিনটে এমন বডি এসেছিল, যাদের চেনাই যাচ্ছিল না।"

আহমেদাবাদ: কেউ সহকর্মী, কেউ বন্ধু। তাদের মৃতদেহ দেখতে হবে, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি। তবে কয়েক মিনিটেই বদলে গিয়েছে গোটা পরিস্থিতি। হাসপাতালে ঢুকছে একের পর এক মৃতদেহ। অধিকাংশেরই দেহ পুড়ে কাঠ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেও নিজেদের স্নায়ুর চাপ ধরে রেখেই লড়াই চালাচ্ছেন চিকিৎসক জয় সাহা এবং চিকিৎসক বিপ্লব পাল। দু’জনেই আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে কর্মরত।
দুই বঙ্গসন্তান চিকিৎসক দুর্ঘটনার পর থেকে সিভিল হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহগুলির সামনে দাঁড়িয়ে আহতদের চিকিৎসা করেছেন। দেখেছেন কিছুক্ষণ আগে যে চিকিৎসক বন্ধু পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন, তাঁর অথবা তাঁর পরিবার ভয়ঙ্করভাবে পুড়ে যাওয়া অবস্থায় স্ট্রেচারে শুয়ে আছেন। এরপরেও নিজেদের স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে চিকিৎসা চালিয়ে গিয়েছেন।
টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরার সামনে নিজেদের সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন দুই ডাক্তারবাবু। বললেন, “স্নায়ুর চাপ কিভাবে ধরে রাখতে হয় সে বিষয়ে বইতে অনেক কিছু পড়েছেন, কিন্তু এভাবে তা প্রত্যক্ষ করতে হবে, নিজের বন্ধুর বেডের সামনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা করার অভিজ্ঞতা হবে তা ভাবতে পারেনি।”
চিকিৎসক বিপ্লব পাল বলেন, “আমরা প্রথম যখন এমবিবিএস পড়ুয়াদের দেহ দেখি, তখন অবস্থা খুব খারাপ ছিল। সিপিআর দিচ্ছিলাম, তাও কিছু করতে পারলাম না। এরকম চারজন ইউজি পড়ুয়ার দেহ পাই। দু-তিনটে এমন বডি এসেছিল, যাদের চেনাই যাচ্ছিল না। দেহ সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছিল। তারপর শুধু আহতদেরই আনা হচ্ছিল ইমার্জেন্সিতে। বাকি সব পোস্টমর্টেমে পাঠানো হচ্ছিল। বাচ্চা বাচ্চা পড়ুয়াদের যখন দেহ আনা হচ্ছিল, আমরা কিছু করতে পারছিলাম না, তখন খুব খারাপ লাগছিল। একটা সময় এসেছিল, যখন একজন রোগী আসছিল, ৫০ জন চিকিৎসক ঝাঁপিয়ে পড়ছিলেন।”
চিকিৎসক জয় সাহা বলেন, “আমরা ট্রিটমেন্ট করছিলাম, তখনও মনে হচ্ছিল যে আমরাও এই পরিস্থিতিতে থাকতে পারতাম। গ্রুপে আমাদের বলা হয়, সমস্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে হবে। ভয় করছিল, কিন্তু রোগীদের জন্য আরও ভয় লাগছিল। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তার সামনেই ১২০০ বেডের হাসপাতাল ছিল। প্রসূতি রোগী ছিলেন, তাদের সরানো খুব কঠিন ছিল।”





