Al Falah University: মুজ়াম্মিল-শাহিনদের ‘গুরু’, দিল্লির বিস্ফোরণের পর নজরে মেডিক্যাল কলেজের আচার্য

Terror Module in Al Falah University: সূত্রের খবর, এবার তদন্তকারীদের র‌্যাডারে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকী। তাঁর ভূমিকা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছে গোয়েন্দাদের মনে। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই কীভাবে তৈরি হল নাশকতার মডেল? কর্তৃপক্ষের প্রচ্ছন্ন মদত নেই তো? সেই সব প্রশ্নই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

Al Falah University: মুজ়াম্মিল-শাহিনদের গুরু, দিল্লির বিস্ফোরণের পর নজরে মেডিক্যাল কলেজের আচার্য
মুজাম্মিল, জাওয়াদ ও শাহিন (বাঁদিক থেকে)Image Credit source: X

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Nov 22, 2025 | 8:54 PM

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের নজর হরিয়ানার ফরিদাবাদের ধৌজ গ্রামের আল-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালটিতে। কারণ, এই হাসপাতালেই কর্মরত ছিল মুজ়াম্মিল এবং শাহিন। তাঁরা চিকিৎসক তো বটেই পাশাপাশি, তাঁদের আবার যোগ রয়েছে ফরিদাবাদের বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে। মুজ়াম্মিলের থেকে শাহিন আবার এক কাঠি উপরে। সে জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা ব্রিগেডের ভারতীয় শাখার প্রধান বলেই দাবি তদন্তকারীদের। এমনকি, শ্রীনগরে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশদের পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগ ধৃত আদিল মাজিদ রাথারও এই আল-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজ। হাসপাতাল নাকি সন্ত্রাসবাদের আখড়া? আল-ফালাহ ঘিরে তৈরি হচ্ছে সেই প্রশ্নটাই।

সূত্রের খবর, এবার তদন্তকারীদের র‌্যাডারে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকী। তাঁর ভূমিকা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছে গোয়েন্দাদের মনে। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে কীভাবে তৈরি হল নাশকতার মডেল? কর্তৃপক্ষের প্রচ্ছন্ন মদত নেই তো? সেই সব প্রশ্নই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

জামিয়া থেকে জেল

১৯৬৪ সালে মধ্য প্রদেশের মহো-তে জন্ম জাওয়াদের। দেশের সংবিধান প্রণেতা ভীমরাও রামজি অম্বেদকরের শহরেই বেড়ে ওঠা তাঁর। জাওয়াদের লিঙ্কডিন প্রোফাইল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি ইন্দোরের দেবী অহিল্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাক্ট ডিজাইন নিয়ে বি-টেক করেছেন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকের পড়াশোনা শেষ গোটা সিদ্দিকী পরিবার চলে আসে দিল্লিতে।

বেশ কিছু সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন জাওয়াদ। তবে জামিয়াতে পড়ানোর সময়কাল থেকে ব্যবসার দিকে ঝোঁক তৈরি হয় তাঁর। নিজের ভাই সাউদের সঙ্গে আল-ফালাহ গোষ্ঠীর সূচনা করেন জাওয়াদ। তৈরি করেন আল-ফালাহ ইনভেস্টমেন্ট। পরবর্তীতে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ তিন বছর জেল খাটেন জাওয়াদ।

ঠিক কী অভিযোগ ছিল জাওয়াদের বিরুদ্ধে? সূত্রের খবর, নিজের পরিচিত, সহকর্মীদের থেকে মোট টাকার বিনিয়োগ তুলেছিলেন জাওয়াদ। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দ্বিগুণ করে ফিরিয়ে দেওয়ার। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করেন বিনিয়োগকারীরা। এরপরই ২০০০ সালে গ্রেফতার হয় সিদ্দিকী ভাই। তিন বছর জেল ২০০৪ সালে মুক্তি পায় তাঁরা। আদালত শর্ত দেয়, ফিরিয়ে দিতে হবে বিনিয়োগকারীদের টাকা।

২০১৪ সালে এই আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেন জাওয়াদ। ২০১৯ সাল থেকে গতি পায় বিশ্ববিদ্যালয়। গোটা মেডিক্যাল কলেজ হয়ে ওঠে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের ‘ডেরা’। গোটা ক্যাম্পাসে মানতে একাধিক ধর্মীয় আচার। মেয়েদের ঘুরতে হত হিজাব ও বরখা পরে। কেউ যদি কলেজের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তুলত, তাঁকে দেওয়া হত ‘কড়া শাস্তি’। আর এই ঘটনার নজির কম নয়। করোনা-কালে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বহিষ্কৃত হয়েছিলেন এক নার্স। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওই মহিলার অভিযোগ, করোনা পর্বে জীবন বিমা চেয়েই কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।