
আহমেদাবাদ: কী হচ্ছে মোদীর রাজ্যে? ইস্তফা দিয়ে দিলেন সকল মন্ত্রী। পড়ে রইলেন শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। গুজরাটের রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। বৃহস্পতিবার গুজরাটের বিজেপি সরকারের সকল মন্ত্রীরাই নিজেদের ইস্তফা দিয়ে দেন। একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল ইস্তফা দেননি। একাই কি তিনি রাজ্য় সামলাবেন?
সরকারের অন্দরে দ্বন্দ্ব নয়, গুজরাট ক্যাবিনেটে আসছে বিরাট বদল। আর সেই জন্যই মুখ্যমন্ত্রী বাদে ১৬ জন মন্ত্রীই ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন পদ থেকে। শোনা যাচ্ছে, ৭ থেকে ১০ জন, যারা বুধবার পর্যন্ত মন্ত্রী ছিলেন, তারা নতুন ক্যাবিনেটে স্থান পেতে পারেন। বাকি সব পদে নতুন মুখ আনা হবে।
যে কোনও মন্ত্রী ইস্তফা দিলেই তার ইস্তফাপত্র রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, নতুন মন্ত্রিসভায় পুরনো যারা থাকবেন, তাদের ইস্তফাপত্র রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতের কাছে পাঠানো হবে না।
জানা গিয়েছে, আজ, শুক্রবারই সকাল সাড়ে ১১টায় গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
সূ্ত্রের আরও খবর, এবার মন্ত্রিসভার আকার বাড়তে পারে। আগে ক্যাবিনেটে ১৬ জন মন্ত্রী ছিলেন, এবার ২৬ জন মন্ত্রী হতে পারেন। এই নতুন মন্ত্রিসভায় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নেতারা যেমন থাকবেন, তেমনই যুব প্রজন্মের নেতাও থাকবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল। এরপরই গোটা মন্ত্রিসভা বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল ও সুনীল বনসল সকল মন্ত্রীদের সঙ্গে একে একে দেখা করেন এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তখনই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন।
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন ও ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই ক্যাবিনেটে রদবদলের সিদ্ধান্ত। গুজরাটে যেভাবে আম আদমি পার্টির ঘাঁটি শক্ত হচ্ছে, তা নিয়েও কিছুটা চিন্তায় বিজেপি।
শোনা যাচ্ছে, রিভাবা জাদেজা, জয়েশ রাদাদিয়া, উদয় কঙ্গদের মতো বিধায়কদের মন্ত্রী পদ দেওয়া হতে পারে। আল্পেশ ঠাকুর, যিনি কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁকেও গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হতে পারে।