Karnataka Bandh: বন্ধ সব স্কুল কলেজ, জারি ১৪৪ ধারা, আজ কার্যত অচল কর্নাটক
Karnataka Bandh: কাবেরী ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বা সিডব্লিউএমএ এবং তার সহায়ক সংস্থা কাবেরী ওয়াটার রেগুলেশন কমিটি বা সিডব্লিউআরসি-র সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই, তামিলনাড়ুতে কাবেরী নদীর জল ছাড়ার বিষয়ে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে কর্নাটক।
বেঙ্গালুরু: শহরের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়েছে ছুটি। মান্ড্য জেলায় জারি করা হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা। শুক্রবার কার্যত অচল হতে চলেছে ‘ভারতের সিলিকন ভ্যালি’ হিসেবে পরিচিত বেঙ্গালুরু শহর। প্রতিবেশি রাজ্য তামিলনাড়ুতে কাবেরী নদীর জল ছাড়ার প্রতিবাদে ‘কর্নাটক বনধ’-এর ডাক দিয়েছে কন্নড়পন্থী এবং কর্নাটকের কৃষক সংগঠনগুলি। বনধের প্রেক্ষিতেই এদিন, বেঙ্গালুরু-সহ কর্নাটকের বেশ কয়েকটি জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কাবেরী ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বা সিডব্লিউএমএ এবং তার সহায়ক সংস্থা কাবেরী ওয়াটার রেগুলেশন কমিটি বা সিডব্লিউআরসি-র সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই, তামিলনাড়ুতে কাবেরী নদীর জল ছাড়ার বিষয়ে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে কর্নাটক।
সিডব্লিউআরসি-র সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে, বিলিগুন্ডলুতে কাবেরী নদীর ৩০০০ কিউসেক জল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্নাটককে। এর আগে ৫,০০০ কিউসেক জল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরই প্রতিবাদে, ২,০০০-এরও বেশি কন্নড়পন্থী সংগঠন ও কৃষক সংগঠন রাজ্য জুড়ে একদিনের বনধের ডাক দিয়েছে। বনধের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুনিশ্চিত করতে, শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই বেঙ্গালুরুতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কন্নড় সংগঠনগুলির ছাতা সংগঠন, ‘কন্নড় ওক্কুটা’ অবশ্য রাজ্য সরকারের কাছে ১৪৪ ধারা জারির সময় কমানোর দাবি জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বনধ চলবে। এর অংশ হিসেবে টাউন হল থেকে স্বাধীনতা পার্ক পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।
বনধের জেরে ব্যাহত হতে পারে বিমান পরিষেবা। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড়ান সংক্রান্ত সর্বশেষ আপডেটের জন্য যাত্রীদের সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বন্দ৯র কর্তৃপক্ষের মিডিয়া রিলিজ অনুসরণ করতে হবে। বনধের জেরে, বিশেষত রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, হাইওয়ে, টোল গেট, রেললাইন এবং বিমানবন্দরের গেটে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করবেন। এই পরিষেবাগুলি বন্ধ রাখার চেষ্টা করবেন। বিরোধী দল বিজেপি এবং জেডি(এস) এবং কর্ণাটকের হোটেল, অটোরিকশা এবং ট্যাক্সি সংগঠনগুলিও এই বনধকে সমর্থন করছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে কন্নর অভিনেতা সিদ্ধার্থ তাঁর আসন্ন চলচ্চিত্রের জন্য একটি সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে, বনধ সমর্থকদের বাধার মুখে পড়েন। কর্নাটক রক্ষণ বেদিকে স্বাভিমানি সেনার সদস্যরা অনুষ্ঠানস্থলে হানা দিয়ে জানান, এটা সিনেমার প্রচারের জন্য উপযুক্ত সময় নয়। বৃহস্পতিবার সিদ্দারামাইয়া সরকারের বিরুদ্ধেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বনধ সমর্থকরা। তাদের দাবি, কাবেরীর জল কর্নাটকের। তামিলনাড়ুতে এই নদীর জল ছাড়া যাবে না। তারা আরও বলেছে, রাজ্যের নির্বাচিত বিধায়ক ও সাংসদদের বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলা প্রয়োজন। তাঁরা হয় কর্নাটকের জনগণের স্বার্থকে সমর্থন করুন, অথবা নিজ নিজ পদ থেকে ইস্তফা দিন। বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন তাঁরা।
