Indian Railways: একটা সুইচেই হবে ‘খাড়া’, ট্রেন ছোটাবে ৫ গুণ গতিতে, লন্ডনকেও ছাপিয়ে গেল ভারত

New Pamban Bridge: নতুন পামবান সেতুটি ২.০৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং তামিলনাড়ুর পাক প্রণালী জুড়ে বিস্তৃত। এতে রয়েছে ৭২.৫ মিটার দীর্ঘ নেভিগেশনাল স্প্যান। যা উল্লম্বভাবে ১৭ মিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।

Indian Railways: একটা সুইচেই হবে খাড়া, ট্রেন ছোটাবে ৫ গুণ গতিতে, লন্ডনকেও ছাপিয়ে গেল ভারত

| Edited By: সায়ম কৃষ্ণ দেব

Apr 06, 2025 | 5:52 PM

কেটে গিয়েছে এক শতাব্দী, রামেশ্বরমের পাক প্রণালী অবস্থিত পামবান ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যোগাযোগের সঙ্গেই সমুদ্রের উপর দিয়ে এই সেতুতে রেল যাত্রা পর্যটকদের কাছেও অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

এবার সেই পুরনো ব্রিজের পাশেই তৈরি হল নতুন অত্যাধুনিক পামবান সেতু। পুরনো ব্রিজের সঙ্গে এই ব্রিজের প্রধান পার্থক্য হল এই ব্রিজ প্রয়োজনে উলম্বভাবে উঠে যাবে। রবিবার রামনবমীর দিনেই এই নতুন সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রামানাথপুরম জেলায় অবস্থিত, সেতুটি রামেশ্বরম দ্বীপকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের মন্ডপমের সঙ্গে সংযুক্ত করে। সর্বোপরি এই সেতু জাহাজ চলাচল আরও সহজ করে তুলবে বলেই আশা। ভারতেও এই ধরনের প্রযুক্তির ব্রিজ এই প্রথম।

কী কী বৈশষ্ট্য আছে এই নতুন পামবান সেতুতে?

নতুন পামবান সেতুটি ২.০৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং তামিলনাড়ুর পাক প্রণালী জুড়ে বিস্তৃত। এতে রয়েছে ৭২.৫ মিটার দীর্ঘ নেভিগেশনাল স্প্যান। যা উল্লম্বভাবে ১৭ মিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। যার ফলে জাহাজ নিরাপদে নিচ দিয়ে চলাচল করতে পারবে।

এই সাবস্ট্রাকচারে আছে আপ-ডাউন দুটি রেললাইন। যদিও বর্তমানে একটি লাইন চালু হবে। এটি পামবান (রামেশ্বরম) দ্বীপকে মূল ভূখণ্ডের মন্ডপমের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এই সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পর্যন্ত ছুটতে পারবে ট্রেন। চলাচল করতে পারবে ভারী মালবোঝাই ট্রেনও।

রেল মন্ত্রকের আওতাধীন নবরত্ন পাবলিক সেক্টর, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (RVNL) দ্বারা নির্মিত, সেতুটি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা।

রেল দফতর সূত্রে খবর পুরনো পামবান ব্রিজ প্রয়োজনে দু-ভাগে ভাগ জয়ে যেত পারত। কিন্তু এই ব্রিজ উলম্ব ভাবেই উঠে যাবে উপরের দিকে। আগের ব্রিজ অবস্থিত ছিল সমুদ্র পৃষ্ঠের ৩ মিটার উপরে, সেখানে এই ব্রিজ ৫ মিটার উঁচুতে অবস্থিত।

২.০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ, সেখানে নতুন ব্রিজ মাত্র ২.১ কিলোমিটার দীর্ঘ। আগে জাহাজ গেলে এই ব্রিজ খুলে যেতে এবং পুনরায় নিজের জায়গায় ফিরে আসতে সময় লাগত প্রায় ৩০ মিনিট। সেখানে মাত্র ৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে উঠে যাবে উপরে।

রেল সূত্রে খবর এই ব্রিজ এমন ভাবেই বানানো হয়েছে যে, আগামী ১০০ বছর স্থায়ী হবে। এমনকি এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তাও কম।

সমুদ্রের নোনা জল থেকে সেতুকে রক্ষা করতে ব্যবহার করা হয়েছে স্টেইনলেস স্টিল। দেওয়া হয়েছে পলিসিলোক্সেন রঙের আবরণ।

আধুনিক নকশা এবং প্রযুক্তির কারণে এই সেতুকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোল্ডেন গেট ব্রিজ, যুক্তরাজ্যের টাওয়ার ব্রিজ এবং ডেনমার্ক ও সুইডেনের মধ্যে অবস্থিত ওরেসন্ড ব্রিজের মতো বিখ্যাত সেতুগুলির সঙ্গেও তুলনা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা নির্মিত মূল পামবান সেতুতে একটি ম্যানুয়ালি পরিচালিত শেরজার স্প্যান (এক ধরণের ঘূর্ণায়মান লিফট সেতু) ব্যবহার করা হয়েছিল। এতে ৬১ মিটার লম্বা একটি ট্রাস ছিল যা জাহাজ চলাচলের জন্য ৮১ ডিগ্রি পর্যন্ত উপরে উঠে যেত। তবে নিরাপত্তার কারণে সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।