লখনউ: স্তনে হাত দেওয়া বা পাজামার দড়ি ছেঁড়া ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা হিসাবে গণ্য হয় না। বরং তা যৌন হেনস্থা। এমনটাই পর্যবেক্ষণ রাখল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার একটি মামলার শুনানিতেই এই পর্যবেক্ষণ রাখে আদালত।
২০২১ সালে উত্তর প্রদেশের কাসগঞ্জে ১১ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে দুই অভিযুক্ত। লিফ্ট দেওয়ার অছিলায় নির্যাতিতার স্তনে হাত দেয়, পাজামার দড়ি ছিঁড়ে দেয় অভিযুক্তরা। তাঁকে কালভার্টের নীচে টেনে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখনই কয়েকজন পথচলতি মানুষ নাবালিকার চিৎকার শুনে চলে আসেন। নাবালিকার সম্ভ্রম রক্ষা হয়।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রথমে কাসগঞ্জ ট্রায়াল আদালতে শুনানি শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ধারায় এবং পকসো আইনের ১৮ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়। অভিযুক্তরা হাইকোর্টে আবেদন জানালে, সেখানে বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রের বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যে ধর্ষণের বদলে যৌন নিগ্রহ এবং পকসো আইনের অধীনে মামলার শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ধর্ষণের চেষ্টা হিসাবে দাঁড়ায় না। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণের জন্য প্রস্তুতি পর্ব পার করেছিল ওই ঘটনা, তা প্রমাণ করতে হবে। আসল অপরাধ এবং অপরাধের প্রস্তুতির মধ্যে ফারাক রয়েছে।”
আদালত আরও বলে, “প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানেও এটার উল্লেখ নেই যে অভিযুক্তদের কাজে নির্যাতিতা নগ্ন হয়েছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পেনেট্রেটিভ সেক্সুয়াল অ্যাসাল্টের অভিযোগও আনা হয়নি”। শেষে বিচারপতি জানান যে আদালতে পেশ করা রেকর্ডে প্রমাণ হচ্ছে না যে অভিযুক্ত ধর্ষণ করতে চেয়েছিল।