Ragging: একটানা ২৯ ঘণ্টা ধরে নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ! র‌্যাগিং-রোগের শিকার আরও এক ছাত্র

Allegation of Ragging: মাস খানেক আগে ঘটনাটি ঘটেছিল কেরলের ওয়েনাড জেলার এক কলেজের হস্টেলে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হস্টেলের বাথরুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল পুলিশ। সম্প্রতি ঘটনার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআই-এর হাতে। আর তারপরই পুলিশের কেস ফাইল থেকে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Ragging: একটানা ২৯ ঘণ্টা ধরে নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ! র‌্যাগিং-রোগের শিকার আরও এক ছাত্র
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Network

|

Apr 07, 2024 | 5:40 PM

নয়া দিল্লি: কলেজের হস্টেলে র‌্যাগিংয়ের আরও এক মারাত্মক অভিযোগ উঠে আসছে। অভিযোগ উঠে আসছে, টানা ২৯ ঘণ্টা ধরে হস্টেলের সিনিয়র দাদারা ও সহপাঠীরা ওই ছাত্রের উপর র‌্যাগিং চালিয়েছিল। শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল ওই ছাত্রের উপর। শেষে এই অত্য়াচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সিদ্ধার্থন জে এস নামে এক পড়ুয়া। মাস খানেক আগে ঘটনাটি ঘটেছিল কেরলের ওয়েনাড জেলার এক কলেজের হস্টেলে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হস্টেলের বাথরুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল পুলিশ। সম্প্রতি ঘটনার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআই-এর হাতে। আর তারপরই পুলিশের কেস ফাইল থেকে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিবিআই-এর হাতে কেরল পুলিশ যে আত্মহত্যার ঘটনার কেস ফাইল তুলে দিয়েছে সেখানে উল্লেখ রয়েছে সিনিয়ররা ও সহপাঠীরা মিলে একটানা ২৯ ঘণ্টা ধরে অত্যাচার করেছে সিদ্ধার্থনের উপর। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টো পর্যন্ত অত্যাচার চলেছিল সিদ্ধার্থনের উপর। নির্মম র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় বেল্ট পর্যন্ত ব্যবহার হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। ওই ছাত্র মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল যে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও উপায় দেখতে পাচ্ছিল না সে। এরপর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হস্টেলের বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই ছাত্র।

ঘটনায় ইতিমধ্যেই নতুন করে এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এখনও পর্যন্ত যা খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে মোট ২০ জন রয়েছে। হস্টেলের ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছিল কেরলে পিনরাই বিজয়নের সরকারের। শেষে গত ৯ মার্চ বিজয়ন আশ্বস্ত করেছিলেন ঘটনাটির সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করা হবে। সেই মতো সম্প্রতি ঘটনার তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে।