AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Modi-Trump: মোদী-ট্রাম্পের বন্ধুত্ব, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’ দেখছে আমেরিকা

Modi-Trump: আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদীকে একজন বন্ধু হিসেবে দেখেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দুই দেশেরই যৌথ স্বার্থ রয়েছে। জাতীয় এই স্বার্থেই দুই দেশ পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে পদক্ষেপ করছে। সন্ত্রাসবাদ দমন, উন্নত প্রযুক্তি এবং বাণিজ্যের আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে কাজ করার আরও জায়গা রয়েছে।"

Modi-Trump: মোদী-ট্রাম্পের বন্ধুত্ব, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের 'উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ' দেখছে আমেরিকা
নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প (ফাইল চিত্র)Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Apr 16, 2025 | 5:33 PM

ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি: দুই রাষ্ট্রপ্রধানই পরস্পরকে বন্ধু বলে সম্বোধন করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয়বার শপথ নেওয়ার পর তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আমেরিকা সফরে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কয়েকঘণ্টা বৈঠকে করেছিলেন মোদী। বিভিন্ন দেশের উপর ট্রাম্প যখন পারস্পরিক শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তখন আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মার্গারেট ম্যাকলিওড বলছেন, ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক আর দৃঢ় হচ্ছে। একইসঙ্গে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমেরিকা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎও দেখছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ট্রাম্পকে বরাবরই বন্ধু বলে সম্বোধন করেন মোদী। ট্রাম্পও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বন্ধু বলে সম্বোধন করেন। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করার কথা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মুখেই শোনা যায়। তার নির্দেশনও দেখা গিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ দমনে লড়াই, বাণিজ্যের আদান প্রদান বাড়ানো নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশ যে একসঙ্গে লড়ছে, তার বড় নির্দশন ২৬/১১ হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে আমেরিকার সিদ্ধান্ত। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যৌথ স্বার্থেই প্রযুক্তি, বাণিজ্য ও নিরাপত্তায় দুই দেশই সহযোগিতার হাত আরও বাড়িয়েছে।

দুই দেশের সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী মার্গারেট। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীকে একজন বন্ধু হিসেবে দেখেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দুই দেশেরই যৌথ স্বার্থ রয়েছে। জাতীয় এই স্বার্থেই দুই দেশ পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে পদক্ষেপ করছে। সন্ত্রাসবাদ দমন, উন্নত প্রযুক্তি এবং বাণিজ্যের আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে কাজ করার আরও জায়গা রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।”

এই খবরটিও পড়ুন

সন্ত্রাসবাদ দমনে একসঙ্গে লড়াই-

২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর রানা। তাকে আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরাতে অনেকদিন থেকে উদ্যোগী হয়েছে ভারত। ট্রাম্প দ্বিতীয়বার মসনদে আসার পর রানাকে ভারতে প্রত্যপর্ণে উদ্যোগী হন। মার্গারেট বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে দুই দেশ যে একসঙ্গে লড়ছে, তার প্রমাণ রানার প্রত্যর্পণ।

ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতেও উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকা। দ্বিতীয়বার মসনদে বসার পর সব দেশের উপর পারস্পরিক শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। তার মধ্যে ভারতও রয়েছে। কিন্তু, চিন ছাড়া বাকি সব দেশের উপর এই পারস্পরিক শুল্ক নিয়ে সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ৯০ দিনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই নিয়ে একটা সুষ্ঠু সমাধান করার সুযোগ দুই দেশের কাছেই রয়েছে। আর তা হলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।