Amit Shah in Rajya Sabha: আমেরিকা-ইজরায়েলের পথেই ভারত! সংসদে দাঁড়িয়ে সীমান্ত-রক্ষায় ‘আসল নীতি’ স্পষ্ট করলেন শাহ

Amit Shah in Rajya Sabha: এরপরই শাহ বলেন, 'এবার থেকে সেই তালিকায় জুড়ে গিয়েছে ভারতও। পড়শি দেশের সন্ত্রাসবাদীরা নানা ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমাদের জিরো টলারেন্স নীতির সামনেই ওরা রুখে গিয়েছে।'

Amit Shah in Rajya Sabha: আমেরিকা-ইজরায়েলের পথেই ভারত! সংসদে দাঁড়িয়ে সীমান্ত-রক্ষায় আসল নীতি স্পষ্ট করলেন শাহ
অমিত শাহImage Credit source: PTI

|

Mar 21, 2025 | 4:40 PM

নয়াদিল্লি: শুক্রবার রাজ্যসভায় ভাষণ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মোদীর রবিবারের পডকাস্টের পর থেকে নতুন করে কাশ্মীর ইস্যুতে চড়েছে সুর। প্রধানমন্ত্রী থেকে বিদেশমন্ত্রী প্রত্যেকের মুখেই উঠে এসেছে কাশ্মীরে একদা পাকিস্তানের তৈরি করা বিশৃঙ্খলার কথা। এদিন রাজ্যসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে সেই কাশ্মীর ইস্যুকেই আবার তুলে ধরতে ভুললেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও।

পাকিস্তানি জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্তের বদলা থেকে কাশ্মীরে কেন্দ্রের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি সব প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন শাহ। এদিন তিনি বলেন, ‘এই বিশ্বে এতদিন মাত্র দুটিই দেশ ছিল, যারা নিজেদের সীমান্ত রক্ষায় প্রচণ্ড জোর দিত, একটি আমেরিকা ও অন্যটি ইজরায়েল।’ এরপরই শাহ বলেন, ‘এবার থেকে সেই তালিকায় জুড়ে গিয়েছে ভারতও। পড়শি দেশের সন্ত্রাসবাদীরা নানা ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমাদের জিরো টলারেন্স নীতির সামনেই ওরা রুখে গিয়েছে। যেমন ওরা হামলা চালিয়েছে, তেমন আমরা বদলাও নিয়েছি।’

এরপর কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করার প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘২০১৯ সালে অনুচ্ছেদ ৩৭০ তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আমরা ওই এলাকার নিরাপত্তার খোলনলচেই একেবারে বদলে দিয়েছি। কাশ্মীরে গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস হামলায় মৃত্যুর পরিমাণ কমেছে ৭০ শতাংশ। এমনকি, আগের তুলনায় ভারতীয় যুবদের সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরিতেও বাঁধ পড়েছে অনেকটা।’

এরপর পূর্বতন সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে শাহ বলেন, ‘দশ বছর আগে কাশ্মীরে জঙ্গি মারা হলে স্মরণসভা হত, তাদের শেষকৃত্য পালন হত। এখন নিরাপত্তারক্ষীরা জঙ্গি খতম করে, ঘটনাস্থলেই পুঁতে দেয়। কাশ্মীরের সিনেমা হলগুলি এখন সন্ধেতেও নির্ভয়ে খোলা থাকে। সেখানে আমরা জি-২০-এর সভা করি। মহরম মিছিল অনুষ্ঠান হয়। তবে কাশ্মীরকে শান্ত করেই আমরা ক্ষান্ত থামিনি। এবার ২০২৬ সালের মধ্যে গোটা দেশকেও মাওবাদীমুক্ত করতে চলেছি।’