
নয়াদিল্লি: যুবশক্তি। যুব জনসংখ্যায় বিশ্বের মধ্যে সবার আগে ভারত। আর সেই যুবশক্তির ক্ষমতায়নে করতে গত ১১ বছর ধরে নানা পদক্ষেপ করে চলেছে মোদী সরকার। ভারতের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নিচে। দেশের উন্নয়ন ও দীর্ঘকালীন কৌশলগত বৃদ্ধির জন্য যুবসমাজের এই শক্তিই প্রধান ভূমিকা পালন করবে। গত ১১ বছরে এই যুবশক্তির ক্ষমতায়নে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই তথ্য তুলে ধরল মোদী সরকার।
২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী। এই ১১ বছরে বারবার তাঁর মুখে যুবশক্তির কথা শোনা গিয়েছে। অমৃত প্রজন্মের কথা বলেছেন তিনি। যুব প্রজন্মের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “অমৃত প্রজন্মের সব স্বপ্ন পূরণ করা সরকারের সংকল্প। তাঁদের জন্য অজস্র সুযোগ ও তাঁদের পথের সব বাধা দূর করতে বদ্ধপরিকর সরকার।” যুব প্রজন্ম যাতে উচ্চমানের শিক্ষা পায়, ভাল চাকরি পায়, দক্ষতা বৃদ্ধির সুয়োগ পায়, তার জন্য নানা পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র।
যুব প্রজন্মের কাছে উচ্চমানের শিক্ষা পৌঁছে দিতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। ২০২০ সালে জাতীয় শিক্ষা নীতি চালু করা হয়। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এই ১১ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০১৪-১৫ সালে যা ছিল ৫১ হাজার ৫৩৪টি। ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ৭০ হাজার ৬৮৩টি। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, আইআইটি-র সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৪ সালে দেশে ১৬টি IIT ছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৩।
দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুব প্রজন্ম পড়াশোনা শেষ করার আগেই চাকরির জন্য যাতে প্রস্তুত হতে পারেন, সেজন্য তাঁদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পিএম কৌশল বিকাশ যোজনায় ২০১৫ থেকে ১.৬৩ কোটির বেশি যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
যুব সমাজকে চাকরি সুযোগ করে দিতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। ২০২২ সালের অক্টোবরে রোজগার মেলার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এখনও পর্যন্ত ১৫ বার জাতীয় স্তরে রোজগার মেলা হয়েছে। যেখানে প্রায় ১০ লক্ষ নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।
যুব প্রজন্ম যাতে নিজেরাই কোনও সংস্থা শুরু করতে পারেন, তার জন্যও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের মুদ্রা যোজনায় এখন ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। যুব সমাজ যাতে খেলাধূলাতেও উৎসাহী হয়, সেজন্যও পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। তার ফলও দেখা যাচ্ছে। অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিকে ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা আরও সাফল্য পাচ্ছেন। সেনায় অগ্নিবীর স্কিমে সুযোগ পাচ্ছেন যুবক-যুবতীরা।