Anubrata Mondal: জেলে দেখা হল আইনজীবীর সঙ্গে, তবু খোঁজ নিলেন না মেয়ের
Anubrata Mondal: অনুব্রতর সঙ্গে কথাবার্তা বলে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তাঁর আইনজীবীও জানান, আগামিকাল হাইকোর্টে জামিনের আবেদনের মামলা নিয়েই উৎস্যুক কেষ্ট। অন্যান্য বিষয়ে খুব বেশি কথা হয়নি।
নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিন মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে এদিন বিকেলে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গ্রেফতার অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে তিহাড় জেলে (Tihar Jail) যান তাঁর আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষাল। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে আইনজীবী কথা বলেন কেষ্টর সঙ্গে। সূত্রের খবর, আইনজীবীকে দেখা মাত্রই বেশ অত্যুৎসাহী দেখায় কেষ্টকে। আইনজীবীকে দেখেই কেষ্টর প্রশ্ন, বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের মামলার কী হবে? তিহাড় থেকে কি তাঁর রেহাই মিলবে? জানতে চান কেষ্ট। অনুব্রতর সঙ্গে কথাবার্তা বলে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তাঁর আইনজীবীও জানান, আগামিকাল হাইকোর্টে জামিনের আবেদনের মামলা নিয়েই উৎস্যুক কেষ্ট। অন্যান্য বিষয়ে খুব বেশি কথা হয়নি।
তিহাড়ে বাকি কয়েদিদের মতোই খাবার খেয়েছেন অনুব্রত। যদিও সূত্রের খবর, প্রথম রাত তাঁর জন্য খুব একটা স্বস্তির ছিল না। শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য নেবুলাইজ়ার ও অক্সিজেন নিতে হয়েছে কেষ্টকে। সেই সবের কারণে রাতে ভাল ঘুম হয়নি বীরভূমের তৃণমূল নেতার। যদিও কেষ্টর আইনজীবী জানাচ্ছেন, তিনি এখন ভাল আছেন এবং রাতেও ঠিকঠাক ঘুম হয়েছে বলেই জানাচ্ছেন তিনি। যা কিছু ওষুধপত্র দরকার ছিল, সেগুলোও পেয়েছেন তিনি। চিকিৎসক সময়ে সময়ে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা নিরিক্ষা করে নিচ্ছেন। অনুব্রতর আইনজীবী জানালেন, জেলে ঠিকঠাক খাবার পেয়েছেন তিনি। জেলের খাবারের প্রশংসাও করতে দেখা যায় কেষ্টর আইনজীবীকে। বললেন, ‘জেলের খাবার এমনিও ভাল।’
তিনি দিল্লিতে জেলবন্দি। মেয়ে সুকন্যা রয়েছে বাংলায়। বাড়ির লোকজনের খোঁজখবর কি নিলেন কেষ্ট মণ্ডল? আইনজীবী অবশ্য জানাচ্ছেন, তেমন কোনও বিষয়ে কথা হয়নি তাঁদের। আগামিকাল হাইকোর্টে যে মামলা রয়েছে, সেই নিয়েই অনুব্রত মণ্ডল বেশি উৎসাহী এবং সেই সব বিষয়েই বেশি কথা হয়েছে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত আগামিকাল দিল্লি হাইকোর্টের মামলার শুনানিতে কোনও স্বস্তি পান কি না অনুব্রত মণ্ডল।