নয়া দিল্লি: শেষ পর্যন্ত তিহাড়ে (Tihar Jail) প্রথম রাতটা কাটিয়েই ফেললেন কেষ্ট মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ রয়েছে। আদালতে পেশের আগে এখনও অনেকগুলো দিন তিহাড়ে কাটাতে হবে বীরভূমের ‘বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডলকে। কেমন আছেন তিনি জেলে? কেমন কাটল তিহাড়ে প্রথম রাত? কেষ্টর আইনজীবী জানাচ্ছে, ভালই আছেন তিনি। খাওয়া দাওয়া করছেন ঠিকঠাক। ঘুমও ঠিকঠাকই হচ্ছে। সে সব শুনে সমালোচকরা অনেকে বলছেন, সে অবশ্য হওয়ারই কথা। কারণ, কেষ্ট তো সেখানে একা নেই। পুরনো সঙ্গীদের, থুরি অনুচরদের যে সেখানে পেয়ে গিয়েছেন তিনি। পরিচিত রাজনৈতিক গণ্ডির বাইরে থাকলেও, তিহাড়ে একাকীত্বে ভোগার কথা নয় বীর কেষ্ট মণ্ডলের। অনেক আগে থেকেই সেখানে রয়েছেন গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার সায়গল হোসেন। তিনি কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী। আবার সদ্য গ্রেফতার মণীশ কোঠারিও ঢোকানো হয়েছে তিহাড়েই। পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ ছিলেন অনুব্রতর ব্যক্তিগত হিসেবরক্ষক।
তিন মূর্তি এখন তিহাড়ে। আরও বড় বিষয় হল, তিনজনেই রয়েছেন একই সেলে। তিহাড়ের সাত নম্বর সেলে কেষ্ট খুঁজে পেয়েছেন পুরনো সঙ্গীদের। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে যারা তিহাড়ে আসে, তাদের রাখা হয় এই সাত নম্বর সেলেই। জানাচ্ছেন অনুব্রতর আইনজীবী। সমালোচকরা বলছেন, হারানো ‘সংসার’ ফিরে পেয়েছেন কেষ্ট। আইনজীবী বলেছেন, অনুব্রতর নাকি ভালই খুব হয়েছে গতরাতে। তাহলে কি পুরনো সঙ্গীদের পাশে পেয়েই আরামে ঘুম হচ্ছে ‘বীরভূমের বাঘের’?
উল্লেখ্য, গরু পাচারের কাণ্ডে যে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ইধার-উধার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে, সেখানে দাবি করা হচ্ছে কেষ্টর দুই মূল সাগরেদ এই সায়গল হোসেন এবং মণীশ কোঠারি। ইডির তদন্তকারী অফিসাররা তো মণীশের ব্যাপারে আদালতেই জানিয়ে দিয়েছেন যে এই হিসেব রক্ষকই সব জানেন। অনুব্রতর হয়ে মণীশই টাকা তুলেছে বলে আদালতে জানিয়েছে ইডি। আর এদিকে সাইগলের সম্পত্তির হিসেব দেখে তো চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়। একজন দেহরক্ষীর এত সম্পত্তি! কোটি কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট, বেনামি দলিল… আরও কত কী! সব মিলিয়ে কেষ্টর দেহরক্ষীর প্রায় ১০০ কোটির সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এবার সেই মণীশ ও সায়গলের সেল-সঙ্গী কেষ্টও।