Anubrata Mondal: দু’সপ্তাহ ধরে শুধুই সবুজ পাঞ্জাবি, কোন কূটনৈতিক বার্তা দিচ্ছেন কেষ্ট?

নয়া দিল্লি: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ইডি (Enforcement Directorate) হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। আজ ফের কেষ্টকে রাউজ় এভিনিউ কোর্টে পেশ করা হয়েছে। আর আজও কেষ্টর পরনে সবুজ পাঞ্জাবি। যখন ইডি তাঁকে কলকাতা থেকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছিল, তখনও সবুজ পাঞ্জাবিই পরেছিলেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। সবুজ রঙা পাঞ্জাবি গায়ে কি দলকে কোনও বার্তা দিতে চাইছেন কেষ্ট? এমন গুঞ্জন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। তাহলে কি সবুজের সঙ্গ তিনি ছাড়বেন না, এমন কোনও বার্তা দিতে চাইছেন কেষ্ট?

প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডল এখন নিজের পরিচিত রাজনৈতিক গণ্ডির বাইরে। বাংলা থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে দিল্লিতে। সূত্রের খবর, ইডির হেফাজতে থাকাকালীন কেষ্ট নাকি বলেছেন, দল তাঁর পাশে আছে, তাঁর কিচ্ছু হবে না। দুইয়ে দুইয়ে চার কষে, অনেকেই কেষ্টর এই সবুজ পাঞ্জাবির পিছনে দলের প্রতি কোনও বার্তার ইঙ্গিত পাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা তৃণমূলের অন্যান্য ছোট-বড়-মাঝারি মাপের নেতাদের ক্ষেত্রে দল যেমন কড়া অবস্থানের পথে হেঁটেছে, অনুব্রতর ক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি। উল্টে, দলের তরফে কখনও অনুব্রতকে বীর, কখনও আবার বাঘের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এমনকী জেলার সাংগঠনিক পদ থেকেও সরানো হয়নি কেষ্টকে। ইডি তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গেলেও, অনুব্রত মণ্ডল এখনও তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। দলের তরফে এমন নমনীয় ভাব দেখে কি বুকে বল পাচ্ছেন কেষ্ট? এমন গুঞ্জন কিন্তু অনেকদিন ধরেই চলছিল।

প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হলেও, তাঁর বিপুল সম্পত্তি এবং আয়-ব্যয়ের হিসেব-নিকেশ নিয়ে এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন গোয়েন্দারা। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছিলেন, কেষ্টকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হলে, পরিচিত রাজনৈতিক গণ্ডির বাইরে থাকলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে মুখ খুলতে পারেন কেষ্ট। সেক্ষেত্রে দলের আরও কারও নাম উঠে আসবে কি না, তা নিয়েও চর্চা চলছিল। এমন অবস্থায় সবুজ পাঞ্জাবি গায়ে অনুব্রত কি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে তিনি দলের সঙ্গ ছাড়ছেন না?

উল্লেখ্য, যে কেষ্ট মণ্ডলের গ্রেফতারির পর এক সময়ে তৃণমূলের নেতারা তাঁকে কখনও বীর কখনও বাঘের সঙ্গে তুলনা করা হলেও, তাৎপর্যপূর্ণভাবে কেষ্টর দিল্লিযাত্রার দিন প্রায় চুপ তৃণমূল শিবির। দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেও সেইভাবে কেষ্ট প্রসঙ্গে উঠে আসেনি। এমনকী সম্প্রতি কালীঘাটের বৈঠকেও কেষ্ট প্রসঙ্গে খুব বেশি আলোচনা হয়নি বলেই সূত্রের খবর।