
নয়া দিল্লি: গতিময় বদলাচ্ছে জীবনের ছন্দ। বদলাচ্ছে জীবনশৈলী। আজকাল পরিবর্তিত জীবনধারা এবং ভুল খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। পিত্ত সংক্রান্ত সমস্যা যেমন বাড়ছে তেমনই বাত, সর্দি-কাশি লেগেই থাকছে। যোগগুরু বাবা রামদেবের হাত ধরে শুরু হওয়া পতঞ্জলির মূল লক্ষ্য মানুষের মধ্যে আয়ুর্বেদ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আচার্য বালকৃষ্ণ আয়ুর্বেদ সম্পর্কে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি বইও লিখেছেন। নাম ‘আয়ুর্বেদ বিজ্ঞান’।
এই বইটিতে বাত দোষ (Vata Dosha) সম্পর্কেও অনেক তথ্য রয়েছে। এটি শরীরের নড়াচড়া এবং সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে। চরক সংহিতায়, বায়ুকে হজম অগ্নি বৃদ্ধিকারী, সমস্ত ইন্দ্রিয়ের প্রভাবক এবং উৎসাহের কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাত শরীরের পেট এবং অন্ত্রে পাওয়া যায়। যদি এটি পিত্ত দোষের সঙ্গে মিশে যায়, তবে এতে তাপ বাড়ে। যদি এটি কফের সঙ্গে মিশে যায় তাহলে আবার ঠান্ডা বাড়ে।
এটি মূলত পাঁচ প্রকার। প্রাণ বাত জীবনীশক্তি বা প্রাণশক্তির সঙ্গে জড়িত। যা মস্তিষ্ক, ফুসফুস এবং হৃদয়ের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। উদন বাত আবার শ্বাসযন্ত্র এবং কথা বলার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে। সমনা বাত হজম এবং বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে। খাদ্য হজম, পুষ্টি, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ নির্মূলে বড় ভূমিকা নেয়। আপন বাত শরীরের নিম্ন অংশ, বিশেষ করে পাচনতন্ত্রের নিম্ন অংশ, প্রজনন অঙ্গ এবং মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ব্যান বাত শরীরের রক্ত সঞ্চালন, পেশির নড়াচড়া এবং স্নায়ুতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে। এটি সমস্ত অঙ্গকে সক্রিয় রাখতেও বড় ভূমিকা পালন করে।