সেনা অফিসারদের মারধর করে লুঠ, চোখের সামনেই বান্ধবীকে ‘গণধর্ষণ’ করল দুষ্কৃতীরা!
Crime: প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, লুঠপাট করার উদ্দেশ্য় নিয়েই সেনা অফিসারদের পথ আটকেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রথমে লুঠপাট করলেও, এরপর তারা ওই সেনা অফিসারদের সঙ্গে থাকা এক বান্ধবীকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
ইন্দোর: চরম পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে অরাজকতা। সেনা অফিসারদের বেধড়ক মারধর। লুঠ করা হল সঙ্গে থাকা যাবতীয় জিনিস। তবে এরপরও ক্ষান্ত হয়নি দুষ্কৃতীরা। দুই সেনা অফিসারের সঙ্গে থাকা তাদের বান্ধবীকে চোখের সামনেই গণধর্ষণ করে। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের ইন্দোর জেলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, লুঠপাট করার উদ্দেশ্য় নিয়েই সেনা অফিসারদের পথ আটকেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রথমে লুঠপাট করলেও, এরপর তারা ওই সেনা অফিসারদের সঙ্গে থাকা এক বান্ধবীকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
আক্রান্ত সেনা অফিসারদের বয়ানের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজনের আবার অপরাধের ইতিহাস রয়েছে।
কী ঘটেছিল?
আক্রান্ত সেনা অফিসার জানিয়েছেন, সেনা কলেজে তাদের প্রশিক্ষণ চলছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ইন্দোরের ছোটি জামের ফায়ারিং রেঞ্জের কাছে বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা করেন তারা। সেখানেই তারা গল্প করছিলেন, হঠাৎ আটজন লোক চড়াও হয়। তাদের হাতে লাঠি, পিস্তল, ছুরি ছিল। বিনা কারণেই তারা ওই দুই সেনা অফিসারকে মারধর করতে থাকে। অফিসারদের বান্ধবীদেরও মারধর করা হয়। তাদের কাছে যা টাকাকড়ি ছিল, তা লুঠ করে নেয়।
এরইমধ্যে দুষ্কৃতীরা এক যুবতীকে বন্দি বানায়। ওই সেনা অফিসারদের ১০ লক্ষ টাকা আনতে বলে। ওই অফিসার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পে ফিরে গিয়ে কম্যান্ডিং অফিসারকে গোটা বিষয়টি জানান। কম্যান্ডিং অফিসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন।
সেনা ও পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। উদ্ধার করা হয় অপহৃত মহিলাকে। হাসপাতালে মেডিক্য়াল টেস্ট করালে জানা যায়, ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।