নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবারই (২১ ডিসেম্বর) এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের সামনে তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবারই এক নতুন সমন জারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এই নিয়ে তাঁকে দ্বিতীয়বার ডাকা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু, এবারও সম্ভবত ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়া এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। বুধবারই, তিনি ‘রাজকার্য’ ছেড়ে এক অজ্ঞাত স্থানে ধ্যান করতে চলে গেলেন। যার পোশাকি নাম ‘বিপাসনা অধিবেশন’। এই কর্মসূচি চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর আগে, আম আদমি পার্টি প্রধানকে ২ নভেম্বর তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেই সময় তিনি মধ্য প্রদেশ নির্বাচনের প্রচারের ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না।
ইডি দফতরে হাজিরা দিতে গেলে, কেজরীবালকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আপ দলের পক্ষ থেকেই বেশ কয়েকবার এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই জল্পনা এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে, কেজরীবালের দাবি, এই সমন ‘অবৈধ’ এবং ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। ইডির কাছে তিনি এই সমন প্রত্যাহার করার দাবিও জানিয়েছেন। তবে, বারবার ইডির সমন অবজ্ঞা করে নিজেরই বিপদ বাড়াচ্ছেন কেজরীবাল। বৃহস্পকিবার হাজিরা না দিলে, তিনি পরপর দুইবার এই হাজিরা এড়াবেন। আইন অনুসারে, এইভাবে যদি তিনি তিনবার সমন এড়িয়ে যান, তারপর কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে ইডি।
মঙ্গলবার, অরবিন্দ কেজরীবালকে তলব করার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আম আদমি পার্টি। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের আইনজীবীরা ইডির পাঠানো নোটিশ পড়ে দেখছেন। তাদের পরামর্শ মতো, ‘আইনগতভাবে সঠিক’ পদক্ষেপ করা হবে। আপ মেতাদের দাবি, কেজরীবালের বিপাসনা অধিবেশনের বিষয়টি আগেই ঠিক করা ছিল। সকলেই জানত। এই বিষয়ে কোনও গোপনীয়তা ছিল না। আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা বলেছেন, “সবাই জানে মুখ্যমন্ত্রী ১৯ ডিসেম্বর বিপাসনার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। তিনি নিয়মিত এই ধ্যান অধইবেশনে যান। এটি একটি পূর্বনির্ধারিত এবং পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। তারপরও, ইচ্ছে করেই এই সময়ে তাঁকে তলব করেছে ইডি।”
এর আগে, চলতি বছরের এপ্রিলেই, আবগারি মামলায় কেজরীবালকে নয় ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই সময় কিন্তু হাজিরা দিতে দেরি করেননি কেজরীবাল। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় ,সংস্থাটির তীব্র নিন্দা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “সিবিআই আমাকে ৫৬টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছে। কিন্তু, সবকটিই ভুয়ো। আমি নিশ্চিত, যে তাদের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে কিছু নেই, এক টুকরো প্রমাণও নেই।”