মুম্বই: প্রমোদতরী থেকে মাদক (Drugs on Cruise Ship) উদ্ধারের ঘটনায় আরও শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান (Aryan Khan) জামিন না পেলেও, মনীশ রাজগারিয়া ও আভিন সাহু নামক দুই ব্যক্তি মঙ্গলবার জামিন (Bail) পেলেন। এদিকে, গতকালই বম্বে হাইকোর্টে আরিয়ানের জামিনের আবেদন স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। আজ পুনরায় সেই আবেদনের শুনানি রয়েছে।
প্রমোদতরীতে মাদক সেবন কাণ্ডে প্রথমদিনই, অর্থাৎ ৩ অক্টোবর গ্রেফতার হয়েছিলেন শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। ওই প্রমোদতরীটি মুম্বইয়ে ফিরে আসার পরই মনীশ রাজগারিয়া ও আভিন সাহুকে গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে মনীশের কাছ থেকে ২.৪ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল এবং আভিন সাহুকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার গ্রেফতার করা হল নিষিদ্ধ মাদক করার জন্য। গতকাল আদালতের তরফে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়।
মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া এই দুই ব্যক্তির আইনজীবীই জানান, আরিয়ান খানের মতো এদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে বা আইমেসেজে মাদকের উল্লেখ নিয়ে তদন্ত চলছে না। তাদের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার হলেও কোনও মামলা চলছে না, সুতরাং অভিযুক্তদের যেন জামিন দিয়ে দেওয়া হয়। আভিন সাহুর আইনজীবীও জানান, অন্যান্য মামলার থেকে তার মক্কেলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা ভিন্ন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত জারি না থাকায়, এক্ষেত্রে জামিন দেওয়াই যায়।
এদিকে, দুবার জামনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর বিগত ২০ দিন ধরে জেলবন্দিই রয়েছেন আরিয়ান খান। বর্তমানে তিনি মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে রয়েছেন। শেষ খারিজ হওয়া জামিনের আবেদনের কারণ হিসাবে আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, আরিয়ান জানত তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টের জুতোয় চরস লুকনো রয়েছে, যা জেনেবুঝেই মাদক রাখা হিসাবে গণ্য হয়।
যদিও আরিয়ানের আইনজীবী মুকুল রোহতগি দাবি করেছিলেন, নিম্ন আদালতে আগে থেকেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া হয়েছে। আরবাজ মার্চেন্ট আরিয়ান খানের কর্মচারী নন যে তাঁর উপর আরিয়ানের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং আরবাজের জুতোয় মাদক রাখার বিষয়েও আরিয়ানের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
আইনজীবী মুকুল রোহতগি আদালতে জানিয়েছেন, আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি বা সেদিন মাদক সেবনেরও কোনও প্রমাণ মেলেনি। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করার কোনও অর্থ হয় না। পুরনো হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে মামলা তৈরি করা হচ্ছে, যা প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধারের সঙ্গে কোনওভাবেই সম্পর্কিত নয়।