মুম্বই: আরিয়ান খানের মাদক মামলায় অন্যতম সাক্ষী ছিলেন তিনি, কিন্তু তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই মৃত্যু হল প্রভাকর সেইলের। এনসিবির অন্যতম সাক্ষী ছিলেন তিনি। তাঁর আইনজীবী জানান, ৩৬ বছর বয়সী প্রভাকর বাড়িতেই হৃৎরোগে আক্রান্ত হন, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, মাদককাণ্ডে আরিয়ান খানের গ্রেফতারি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন প্রভাকর। তিনিই প্রথম সামনে এনেছিলেন যে, আরিয়ানকে জেল ছেড়ে ছাড়ানোর জন্য মোটা টাকা চাওয়া হয়েছিল বলিউড তারকা শাহরুখ খানের ম্যানেজারের কাছ থেকে।
শনিবার পুলিশের তরফে জানানো হয়, চেম্বুরের বাড়িতেই শুক্রবার বিকেলে হৃৎরোগে আক্রান্ত হন প্রভাকর সেইল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ঘাটকোপারের রাজাওয়াড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রভাকরের আইনজীবী তুষার খানদারেও প্রভাকরের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পরিবারের সদস্য়রা এই মৃত্যুর পিছনে কোনও রহস্য আছে বলে মনে করছেন না।
এনসিবির সাক্ষী কিরণ গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর হলফনামায় দাবি করেছিলেন, তিনি কেপি গোসাভিকে ফোনে কথা বলতে শুনেছিলেন যেখানে আরিয়ান খানকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকা দাবি করার পরিকল্পনা হচ্ছিল। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, কিরণ গোসাভির পরিকল্পনা ছিল শাহরুখ খানের ম্যানেজার পুজা দাদলানির সঙ্গে যোগাযোগ করে২৫ কোটি টাকা দাবি করা। শেষ অবধি ১৮ কোটিতে রফা করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এরমধ্যে ৮ কোটি টাকা দেওয়া হত এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়েকে, যিনি আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করেছিলেন এবং গোটা তদন্তটি পরিচালন করছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ অক্টোবর মুম্বইয়ের একটি প্রমোদতরী থেকে আরিয়ান খানকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করে এনসিবি। তাঁর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মাদক রাখা ও সেবন করার অভিযোগ উঠেছিল। এনডিপিএস আইনে মামলাও চলছে আরিয়ান সহ ধৃত ২০ জনের নামে।