লাদাখ: কিছুটা হলেও বরফ গলেছে ভারত ও চিনের মধ্যে, উত্তর-পূর্ব লাদাখে শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকার সংঘর্ষস্থলগুলি থেকে দুই দেশই সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে। এরইমাঝে লাদাখ সফরে যাচ্ছেেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। জানা গিয়েছে, আজ, শনিবারই তিনি লাদাখে যেতে পারেন। সেখানে সংঘর্ষস্থল ও বিতর্কিত অঞ্চল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির জওয়ানদের পিছু হটানোর কার্যক্রম নিয়ে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে কোর কম্যান্ডার বৈঠক হতে পারে।
২০২০ সালের মে মাস থেকেই পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে বিরোধ বাধে। ওই অংশে কার অধিকার রয়েছে, এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই দেশেরই বহু জওয়ানের প্রাণহানি হয়। এরপর থেকেই ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কে আরও অবনতি হয়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে বিগত দুই বছর ধরেই দফায় দফায় দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হলেও, সেভাবে কোনও সমাধান সূত্র মিলছিল না। দেপস্যাং সহ একাধিক জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলেও, গোগরা-হট স্প্রিংয়ের মতো এলাকা থেকে সেনা সরাতে নারাজ ছিল চিন। তবে শেষ দফার সেনাস্তরীয় বৈঠকের পরই চলতি সপ্তাহ থেকে ওই অঞ্চলে দুই দেশই সেনা প্রত্য়াহার শুরু করে। সূত্রের খবর আগামী সোমবারের মধ্যেই লাদাখের এই অঞ্চলগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শেষ হবে।
দুই দেশের মধ্যে যখন বরফ গলার ইঙ্গিত মিলছে, সেই সময়ই ভারতীয় সেনার প্রধানের লাদাখ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। সূত্রের খবর, আজই লাদাখ যাচ্ছেন সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। সেখানে গোগরা-হট স্প্রিংয়ে যে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চলছে, তা তিনি নিজে খতিয়ে দেখতে পারেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই ভার-চিনের মধ্যে ১৬ তম দ্বিপাক্ষিক সেনাস্তরীয় বৈঠকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সংঘর্ষস্থলগুলি থেকে মুখোমুখি সেনা অবস্থাব প্রত্যাহার ও সেনা অবস্থান পিছনোর প্রস্তাবে সম্মতি জানানো হয়। দুই দেশের তরফে যৌথ বিবৃতি জারি করেও জানানো হয় যে, গোগরা-হট স্প্রিং এলাকা থেকে সেনা প্রত্য়াহার শুরু করা হবে। আগামী সোমবারের মধ্যেই সংঘর্ষস্থল থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শেষ হবে বলে শুক্রবার জানান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী।
সূত্রের খবর, গোগরা-হট স্প্রিং থেকে ভারতীয় সেনা সরে করম সিং পার্বত্য় এলাকার দিকে স্থানান্তরিত হতে পারে। অন্যদিকে চিন সেনাও তাদের দেশের উত্তর অংশের দিকে সরতে পারে।