Arms License: সীমান্তে বাংলাদেশের দাপাদাপি আর বরদাস্ত নয়, অস্ত্র রাখার খোলাছুট দিল হিমন্ত সরকার

Assam Arms License: হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, "এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর একটি সিদ্ধান্ত। কিছু এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছিলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের পরিস্থিতির পর.."।

Arms License: সীমান্তে বাংলাদেশের দাপাদাপি আর বরদাস্ত নয়, অস্ত্র রাখার খোলাছুট দিল হিমন্ত সরকার
প্রতীকী চিত্র।Image Credit source: PTI

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

May 29, 2025 | 6:28 AM

গুয়াহাটি: বিরাট বড় সিদ্ধান্ত অসম সরকারের। রাজ্যের বাসিন্দাদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার ছাড়পত্র দিল হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে প্রত্যন্ত বা সীমান্তবর্তী, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিজের কাছে অস্ত্র রাখার লাইসেন্স দেওয়া হবে।

গতকাল, ২৮ মে অসমের ক্যাবিনেট বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী এর সপক্ষে অসমের ভৌগলিক অবস্থান ও নিরাপত্তার ঝুঁকির বিষয়টিই তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলির বাসিন্দাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাবোধ দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

অসম সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে এবার থেকে ধুবরি, নগাঁও, মরিগাঁও, বরপেটা, দক্ষিণ শালমারা ও গোয়ালপারার বাসিন্দারা নিজের কাছে লাইসেন্স প্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান যে অসমের ৩৫টি জেলার মধ্যে ১১টিতে মুসলিমরা সংখ্যাগুরু। এর মধ্যে ৪ জেলা আবার বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে।

হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর একটি সিদ্ধান্ত। কিছু এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছিলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের পরিস্থিতির পর..সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই ধরনের স্পর্শকাতর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্মস লাইসেন্স দেওয়া হবে।”

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, অসমবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই অস্ত্র রাখার লাইসেন্স। তাই ক্যাবিনেট অসমের প্রত্যন্ত ও সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তাদের অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক এবং আদিবাসী হতে হবে।

তবে অসম সরকারের এই সিদ্ধান্তে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অসম-বাংলাদেশ সীমান্তের একটা বড় অংশ অরক্ষিত। এই অংশ দিয়ে প্রায়সই অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশিরা। এবার সাধারণ মানুষ অস্ত্র রাখার লাইসেন্স পেয়ে গেলে সীমান্তে সংঘর্ষ বাধতে পারে।