প্রাণের ভয়ে অসমে ঠাঁই নিয়েছেন বাংলার বিজেপি কর্মীরা, ছবি দেখিয়ে বিস্ফোরক দাবি হিমন্তের

ঋদ্ধীশ দত্ত |

May 04, 2021 | 9:47 PM

অসমের বিদায়ী অর্থমন্ত্রী তথা বিদায়ী বিধায়ক এ দিন দাবি করেছেন, প্রাণের ভয়ে শয়ে শয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থক পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত টপকে অসম ঠাঁই নিয়েছেন।

প্রাণের ভয়ে অসমে ঠাঁই নিয়েছেন বাংলার বিজেপি কর্মীরা, ছবি দেখিয়ে বিস্ফোরক দাবি হিমন্তের
ছবি- টুইটার

Follow Us

গুয়াহাটি: একুশের বহু প্রতীক্ষিত লড়াই মিটেছে, তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে। কিন্তু ভোট পরবর্তী হিংসার সেই চেনা ছবিটা বদলায়নি বঙ্গে। বাংলার জেলায় জেলায় একের পর এক হিংসার ঘটনায় গত ৪৮ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১২ জন কর্মী সমর্থক খুন হয়েছেন বিরোধী দলের। যাদের মধ্যে বেশিরভাগটাই বিজেপি সমর্থক বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যে এসেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এরই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি করলেন অসমের বিজেপি সরকারের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

অসমের বিদায়ী অর্থমন্ত্রী তথা বিদায়ী বিধায়ক এ দিন দাবি করেছেন, প্রাণের ভয়ে শয়ে শয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থক পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত টপকে অসম ঠাঁই নিয়েছেন। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে সুরক্ষার অভাবে ভুগছেন বলেই এ দিন টুইটে দাবি করেছেন অসমের এই বিজেপি নেতা। এমনকি, নিজের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে চেয়ে চারটি ছবিও টুইট করেছেন তিনি। সেখানে যাদের দেখা যাচ্ছে, তাঁরা সকলেই প্রাণ ভয়ে বাংলা ছেড়েছেন বলে অভিযোগে হিমন্তের।

তিনি টুইটে লিখেছেন, “দুঃখজনক ঘটনা। বঙ্গ বিজেপির ৩০০-৪০০ কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা নির্লজ্জ অত্যাচার এবং সহিংসতার সম্মুখীন হয়ে অসমের ধুবড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা তাঁদের আশ্রয় এবং খাবার দিয়েছি। দিদিকে এই রাক্ষসতন্ত্রের নোংরা নাচ বন্ধ করতে হবে।”

আরও পড়ুন: ‘দিদি’র শপথে আমন্ত্রিত ‘দাদা’, দিলীপ-বিমান এবং পিকে-র নামও তালিকায়

প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে চলা হিংসার প্রতিবাদে আগামিকালই গোটা দেশে ধর্নায় বসতে চলেছে বিজেপি। যা নিয়ে পালটা তোপ দেগেছেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া বর্ষীয়ান নেতা তথা বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় যশোবন্ত সিনহা। তিনি টুইটে লিখেছেন, “মমতা এখনও শপথও নিতে পারেননি। তার আগে থেকেই বিজেপি দেশব্যাপী ধর্না করে তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে কলকাঠি নাড়া শুরু করেছে। করোনা সম্পর্কে কে কি আপনারা ভুলে গেলেন? নাকি তার থেকেও রাজনীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনাদের কাছে?”

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা হচ্ছে না, সমস্যা থাকলে আদালতে যেতে বলল কমিশন

Next Article