গুয়াহাটি: ভিন রাজ্যে কাজ করেন স্বামী। বাড়িতে একাই থাকেন স্ত্রী। দু-তিন মাস অন্তর বাড়িতে আসেন স্বামী। ভিন রাজ্য থেকে ফিরেই স্বামী দেখলেন ঘরের ভিতর থেকে ভেসে আসছে শিৎকার। তার পর দেখেন নিজের প্রেমিকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন স্ত্রী। তা দেখার পরই মেজাজ হারান স্বামী। তুমুল ঝগড়া শুরু হয় স্ত্রীর সঙ্গে। এর পর আর স্বামীর খোঁজ মেলেনি প্রায় মাস তিনেক। ওই ব্যক্তির স্ত্রীরও খোঁজ মিলল না। তখন আত্মীয়রা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তার পর তদন্তে নেমে পুলিশ সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে স্বামীর টুকরো কার দেহ উদ্ধার করেন। দেহ পচে তত দিনে কঙ্কাল বেরিয়ে এসেছে। এর পরই অভিযুক্ত স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের নগাঁও জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা স্বামী জেনে ফেলাতেই খুন হতে হয়েছে তাঁকে।
নগাঁও জেলার কুঠোরি এলাকায় থাকতেন রিতা বোরা। তাঁর স্বামী উমেশ বোরা বেঙ্গালুরুতে কাজ করছেন। দু-তিন মাস অন্তর সেখান থেকে বাড়ি আসতেন তিনি। তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগে রিতা মুজিবর রহমান নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান। মাস তিনেক আগে বেঙ্গালুরু থেকে অসমে ফিরেছিলেন উমেশ। বাড়ি এসে ঘরের মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে মুজিবরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলেন। এর পরই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তখনই গলায় দড়ি পেচিয়ে উমেশকে খুন করেন রিতা ও মুজিবর। তার পর প্রমাণ লোপাট করতে উমেশের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে দুজনে। এবং সেপটিক ট্যাঙ্কে তা ভরে রেখে দেন।
এর পর পাড়া প্রতিবেশীকে রিতা বলেন, উমেশ বেঙ্গালুরুতেই কাজে রয়েছেন। কিন্তু বেশ কয়েক মাস তাঁর খোঁজ পাননি আত্মীয় স্বজন থেকে পরিচিতরা। এর পরই উমেশের নামে থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তখন তদন্তে নামে পুলিশ। এর পরই পুলিশি তদন্তে উঠে আসে খুনের ঘটনা। টেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উমেশের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনা নিয়ে এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, “আমরা রিতা এবং মুজিবারকে গ্রেফতার করেছি। ঘটনার পরবর্তী তদন্ত চলছে।”